ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে গোপালগঞ্জে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ, জনসাধারণকে ধৈর্যের আহ্বান

প্রকাশিত: ১৭:৩৭, ১৭ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৭:৪০, ১৭ জুলাই ২০২৫

সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে গোপালগঞ্জে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ, জনসাধারণকে ধৈর্যের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, গত ১৬ জুলাই একটি রাজনৈতিক দলের পদযাত্রা কর্মসূচিকে ঘিরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় একদল উশৃঙ্খল জনতা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, হামলাকারীরা প্রথমে পুলিশের উপর চড়াও হয় এবং সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। একইসঙ্গে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা ও যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে সেনাবাহিনী দ্রুত হস্তক্ষেপ করে এবং পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সহায়তায় প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সেনাবাহিনী জানায়, সমাবেশ চলাকালীন মঞ্চে পুনরায় হামলা চালানো হয়, একইসাথে জেলা কারাগারেও হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য সেনাবাহিনী মাইকে বারবার সতর্কবার্তা প্রচার করলেও হামলাকারীরা ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। পরে যৌথ বাহিনী হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে আনে।

সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের খুলনায় সরিয়ে নেওয়া হয়। বর্তমানে জেলার সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে এবং প্রশাসনের জারিকৃত কারফিউ বলবৎ আছে।

সেনাবাহিনী আরও জানায়, সহিংসতার এই সময়েও গোপালগঞ্জের সাধারণ জনগণ ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে এবং সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেছে। দেশের মানুষকে গুজব ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহায়তা করার আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে সেনাবাহিনী নিশ্চিত করে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তা রক্ষায় তারা সর্বদা প্রস্তুত এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আসিফ

×