
মুকসুদপুর উপজেলার সদর বাজারের গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর জেলার সীমান্ত এলাকা ঐতিহ্যবাহী কুমার নদে ময়লাসহ বিভিন্ন এলাকার ময়লা আবর্জনা। ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধে মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।
ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় অপরিকল্পিতভাবে দিনের পর দিন উপজেলা সদর বাজারের বিভিন্ন স্থানের মুরগি গরু-ছাগল মাংস বিক্রেতারা উচ্ছৃষ্ট ময়লা ফেলছে কুমার নদে। যেখানে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার উত্তর চন্ডিবর্দি ও মুকসুদপুর পৌরসভার দক্ষিন চন্ডিবর্দী গ্রামের যাতায়াতের জন্য একটি বাঁশের সাঁকো রয়েছে। হাজারো মানুষকে প্রতিদিন দুর্গন্ধের মধ্যে এ সাঁকো দিয়ে বাধ্যতামূলক যাতায়াত করতে হচ্ছে।
সাঁকোর পাশেই ময়লার স্তূপ থেকে উৎকট দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় চরম বিপাকে পড়ছেন পথচারীসহ এলাকাবাসী। খোলাস্থান এবং জনবহুল স্থানে এসব ময়লা ফেলায় বাতাসে ছড়াচ্ছে রোগজীবাণু, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
তা ছাড়া পাশেই রয়েছে বসতবাড়ি, দোকানপাট। পথচারীদের নাকে কাপড় চেপে চলাচল করতে হয়। ভাগাড়টি জনবসতি এলাকা থেকে অন্যস্থানে সরিয়ে নেওয়ার দাবি সালথা-মুকসুদপুরবাসী'র। উপজেলা কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্রুত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে।
ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় অপরিকল্পিতভাবে দিনের পর দিন বাসা বাড়ি, কারখানা ও বাজারের খাবার হোটেল, গরু-ছাগল মাংস বিক্রেতাদের উচ্ছৃষ্ট ময়লা ফেলা হয় এই জায়গায়। পথচারী হেমায়েত আলী জানান, এই সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করি। এখান দিয়ে হাজার হাজার লোক চলাচল করে। এই ময়লার উৎকট দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারীরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বিস্মদেব বলেন, খোলা জায়গায় ময়লা ফেললে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি মানুষেরও শারীরিকভাবে অনেক ক্ষতি হয়।
ময়লা-আবর্জনার পঁচা দুর্গন্ধ নাক দিয়ে মানুষের পাকস্থলীতে গিয়ে নানা ধরনের সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এতে মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। খোলা জায়গা থেকে মশা-মাছিও জন্মায়। তাই খোলা জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসনিম আক্তার বলেন, জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে এই ময়লা-আবর্জনা জনবসতি এলাকায় না ফেলে দূরে কোথায় ফেলা যায় সে বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ডাম্পিং স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হবে। আপাতত এসব ময়লায় যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আঁখি