ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ১০০ দিনের বিশেষ কর্মপরিকল্পনা করতে হবে : সিপিডি

প্রকাশিত: ১৪:১৩, ১৮ আগস্ট ২০২৪; আপডেট: ১৪:১৪, ১৮ আগস্ট ২০২৪

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ১০০ দিনের বিশেষ কর্মপরিকল্পনা করতে হবে : সিপিডি

সিপিডির সম্মেলন

চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে অন্তবর্তী সরকারকে ১০০ দিনের বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। 

বিগত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে নানা অনিয়ম হলেও বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। যেগুলো বাস্তবায়ন জরুরি। তাই অন্তর্বতী সরকারকে এগুলো বাস্তবায়নের কাজ অব্যাহত রাখতে হবে।

রবিবার (১৮ আগস্ট)  ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে 'বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সংস্কার সিপিডি'র প্রস্তাবনা' শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ সময় বলেন, দ্রুত বিদ্যুৎ ক্রয়ের বিশেষ আইন বাতিল করার পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে জবাবদিহিতা বাড়াতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে  (বিইআরসি) স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। 

এ খাতের জন্য ১৭টি সংস্কারের প্রস্তাব তুলে ধরে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে হবে। টেকসই জ্বালানি রূপান্তরে জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে জোর দিতে হবে। 

তিনি বলেন, ২০৪১ সালে বিদ্যুতের চাহিদা হতে পারে ২৭০০০ মেগাওয়াট,  রিজার্ভ মার্জিনসহ ৩৫০০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র থাকতে পারে। কিন্তু বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনায় ৫৮ হাজার মেগাওয়াট ধরা হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা, যা অযৌক্তিক। তাই এটার সংশোধন দরকার বলে আমরা মনে করছি। 

এতে অতিরিক্ত লক্ষ্যমাত্রার সুযোগ নিতে বেসরকারি খাত এলএনজি, কয়লা আমদানির মতো অবকাঠামো তৈরির চাপ দিতে পারে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির উত্তরণে স্রেডার সক্ষমতা বাড়াতে হবে দাবি করে সিপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, এ প্রতিষ্ঠানকে পিএম অথবা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত করা উচিত।

এছাড়া বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) আরপিজিসিএলসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গত কয়েক বছরের আর্থিক প্রতিবেদন আবারো নীরিক্ষা করতে হবে।

ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বিদ্যুৎ খাতে নো ইলেক্ট্রিসিটি, নো পে অনুযায়ী, চুক্তি সংশোধন করলে, ভর্তুকির চাপ কমবে। গ্রাহককে বাড়তি দাম দিতে হবে না বলেও আমরা মনে করছি।

 এসআর

×