নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা ॥ কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ে পূজাম-পে কোরান অবমাননায়-হামলায় অংশ নেয়ার ঘটনায় কুমিল্লা সিটি মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনিরুল হক সাক্কুর পিএস পরিচয়ধারী মঈনুদ্দিন আহমেদ বাবুকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রবিবার রাতে আটক করে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। সোমবার দিনভর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল কোন সূত্র থেকে তার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া না গেলেও রাতে নগরীতে তাকে আটকের জোর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ডে মৌলভীপাড়ায় তাদের বাড়িতেও ঝুলছে তালা। এছাড়া তার পরিবারও লাপাত্তা। গত ১৩ অক্টোবর নানুয়ার দীঘির পাড়ে পূজাম-পে কোরান অবমাননার ঘটনায় ব্যাপক ভাংচুর হয়। এছাড়া নগরীর আরও কিছু পূজাম-পে হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রগুলো অভিযোগ করে জানায়, ওইদিন পূজাম-পে কোরান অবমাননা নিয়ে উত্তেজনা শুরু হলে বাবু প্রতিমাতে আঘাত-ভাংচুর করে। এতে পরে পরিস্থিতি সহিংসতায় রূপ নেয়। এদিকে ওই ম-পে কোরান রাখার দায় পুলিশের নিকট স্বীকার করেছে প্রধান আসামি ইকবাল। এছাড়া ৯৯৯-এ ফোন করা ইকরাম, দারোগাবাড়ির সহকারী খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ূনসহ ইকবাল এখন ৭ দিনের রিমান্ডে। তাদের নিকট থেকে ঘটনার কারণ ও নেপথ্যে থাকা কুশীলবদের বিষয়ে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। মামলার প্রধান আসামি ইকবালকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতারের পর থেকেই সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছে। তার থেকে এ পযর্ন্ত প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাবুর বিষয়টি সামনে চলে আসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর সোমবার রাতে নগরজুড়ে চাউর হলেও দায়িত্বশীল কোন সূত্র থেকে রাত সাড়ে ১১টা এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়রা জানান, নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ডের মৌলভীপাড়ায় বাবুদের বাড়িতে তালা ঝুলছে। এছাড়া তার পরিবারও লাপাত্তা। বাবু তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে রবিবার সকালে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরেননি। এ বিষয়ে মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর দুটি মোবাইল ফোন নাম্বারে ফোন করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তবে তিনি এ ঘটনার পর ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব গেছেন বলে জানা গেছে।