
ছবি: সংগৃহীত
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামেও। দিনটি পরিণত হয় এক হৃদয়বিদারক অধ্যায়ে, যখন চট্টগ্রামের মুরাদপুরে গুলিতে প্রাণ হারান তিন তরুণ—ওয়াসিম আকরাম, ফারুক ও শান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল তার ফেসবুক টাইমলাইনে লেখেন,
"ওয়াসিম, ফারুক ও শান্তের মরদেহ পড়ে ছিল হাসপাতালের স্ট্রেচারে। ওরাই ভোর এনেছিল বাংলাদেশের। গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি তাঁদের সবার অবদান।"
ঘটনার দিন চট্টগ্রাম নগরী ছিল উত্তাল। এর আগেই রংপুরে ছাত্র আবু সাঈদ গুলিতে নিহত হন। তার রক্ত শুকানোর আগেই চট্টগ্রামে ঘটে আরেকটি ট্র্যাজেডি। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ অনুযায়ী, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার মদদপুষ্ট ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা সেদিন মুরাদপুর এলাকায় শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি চালায়। তাতেই প্রাণ হারান তিনজন ছাত্র।
নিহত ওয়াসিম ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। ফারুক ও শান্তও ছিলেন আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী। তাদের রক্তাক্ত প্রাণত্যাগ আন্দোলনের তরঙ্গ আরও তীব্র করে তোলে।
সেদিনের পর বন্দরনগরী চট্টগ্রামের রাজপথে নামে হাজারো ছাত্র ও নাগরিক। বুলেটের ভয় উপেক্ষা করে তাঁরা এক কণ্ঠে উচ্চারণ করেন,
“স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন চাই, একদফা এক দাবি!”
দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এই আন্দোলন ২০২৪ সালের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক জ্বলন্ত অধ্যায় হয়ে রয়েছে। শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণে সারা দেশের মানুষ সেই দিনটিকে শ্রদ্ধা ও বেদনার সঙ্গে স্মরণ করে যাচ্ছে।
ছামিয়া