ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

দূষিত সমাজ ব্যবস্থার কারণে নদী দখল হয়েছে : নৌ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৯:৩৬, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

দূষিত সমাজ ব্যবস্থার কারণে নদী দখল হয়েছে : নৌ প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ দূষিত সমাজ ব্যবস্থার কারণে নদীগুলো দূষিত হয়ে গেছে, দখল হয়ে গেছে বলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এই যে দুরবস্থা, এটি এমনি এমনি আসেনি। কিছু মানুষ ভাবতো জায়গা ফাঁকা আছে, এটাই আমার পছন্দ, এটাই আমার দখল করতে হবে। এভাবেই কিন্তু হয়েছে। রবিবার রাজধানীর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ শেখ কামাল মিলনায়তনে মুজিব শতবর্ষ ও বিশ্ব নদী দিবস-২০২১ উপলক্ষে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর নদী ও পরিবেশ ভাবনা এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে ২৮ জানুয়ারি আমরা যখন ঢাকার চারপাশে নদী দখল উচ্ছেদ শুরু করলাম, আমরা কিন্তু দেখিনি কোনটা কার জায়গা। প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে যখন বলেছিলাম, তখন তিনি আমাদের সাহস দিয়েছিলেন। বাংলাদেশে এমন একজন নেতাকে পেয়েছি, যার সাহস আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়, আমাদের উৎসাহ যোগায়। তিনি যে সাহস আমাদের দিয়েছেন, সে সাহসে আমরা কাজ করছি। এই ঢাকার চারপাশ আমরা দখলমুক্ত করেছি। সেগুলোকে রক্ষা করার জন্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। নদী দখলমুক্ত করতে গিয়ে সরকারকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে জানিয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পচাঁত্তরের পর একটি ধারা তৈরি হয়। মানুষ মনে করেছিল অপরাধ করলে বিচার হবে না, নদী দখল করলে বিচার হবে না। অনেকে নদীর পাড়ে গিয়ে ঘর-কলকারখানা গড়ে তুলেছেন। তারা মনে করেছে এটা দখল নয়, এটা প্রাপ্য অধিকার। এই মনে করে কিন্তু অনেকে নদীর পাড় দখল করেছে। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু নদী নিয়ে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছিলেন, তা তিনি বাস্তবায়ন করতে পারেননি। পঁচাত্তরের পর বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বিরুদ্ধে অপবাদ ও অপপ্রচার করা হয়েছে। দুর্নীতিবাজ সমাজ ব্যবস্থা, লুটেরা সমাজ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। এ থেকে আমাদের নদীগুলোও রক্ষা পায়নি। বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে নদী রক্ষার জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হতো না। নদীর প্রবাহ ঠিক থাকত। নদীগুলো বাংলাদেশের জনগণের জীবন ও জীবিকার উৎস হিসেবে কাজ করত। নদীগুলোকে রক্ষা করে এর প্রবাহ নিশ্চিত করাই হোক নদী দিবসের অঙ্গীকার। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এস এম আলী কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য কামরুন নাহার আহমেদ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্পের পরিচালক ইকরামুল হক এবং বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মুনির হোসেন। অনুষ্ঠানে তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। প্রবন্ধগুলো উপস্থাপন করেন এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ স্পেশালিস্ট মনির হোসেন চৌধুরী, রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া।
×