
স্টাফ রিপোর্টার ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক ভূমিধ্বসের পেছনে মানবসৃষ্ট কারণই মূল অনুঘটক। অবৈধভাবে পাহাড় কাটা, গণহারে বৃক্ষনিধন ও অপরিকল্পিত অাবাসনই পাহাড় ধসের পেছনে মূল কারণ হিসেবে কাজ করেছে। এছাড়ও রাস্তার ড্রেনেজ ব্যবস্থা, অপরিকল্পিত জুম চাষ ও অতিবৃষ্টি তথা জলাবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। ভূমিধ্বস প্রতিরোধে আগাম সতর্ক সংকেত, পাহাড় উপযোগী গৃহ নির্মাণ নীতিমালা প্রণয়ন, পর্যাপ্ত আশ্রায়ন ব্যবস্থা, ভূমি ব্যবহারের নীতিমালাসহ ও সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যাপক জনসচেতনা তৈরির উপর জোর দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমিধ্বসের কারণ ও প্রতিকার’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তাদের আলোচনায় এসব কথা উঠেছে। মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার ও বেগম ফিরোজা বেমন চিনু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. গওহর রিজভী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ভূমিধ্বস রোধে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। বিশেষত পাহাড়ের মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, শান্তিচুক্তি পূর্ববর্তী সরকারগুলোর অপরিনামদর্শী পদক্ষেপের ফলে পাহাড়ের ভারসাম্য বিনষ্ট হয়েছে। ফলে পাহাড়বাসীকে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট নানা দূর্যোগ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এসময় তিনি আরও বলেন, শান্তি চুক্তির শর্তমোতাবেক অধিকাংশ সরকারী বিভাগ সংশ্লিষ্ট পার্বত্য জেলা পরিষদে ন্যাস্ত করা হয়েছে। যার ফলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে পাহাড়ের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রাখতে হবে। এ ব্যাপারে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। আর সেমিনারে উত্থাপিত সারসংক্ষেপের ভিত্তিতে নতুন কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হবে।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম শামসুল ইসলাম, সমন্বিত পর্বত উন্নয়নের আন্তর্জাতিক সংস্থা (ইসিমোড)’র ভূ-তত্ত্ববি প্রফেসর সামজাল রত্না বজরাচারিয়া অবসরপ্রপ্ত কর্ণেল পরিমল বিকাশ চাকমা।