
ছবি: সংগৃহীত
নতুন একাডেমিক ভবনে বিভাগের জন্য পছন্দের রুম বরাদ্দ না পাওয়ায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আরিফ ওবায়দুল্লাহ পদত্যাগ করেছেন।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে তিনি পদত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোর জন্য ১২ তলার দুটি একাডেমিক ভবন এবং পুরাতন একাডেমিক ভবনের রুম বণ্টন নিয়ে উপাচার্যের সাথে ডিন এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের মিটিং হয়। সে মিটিংয়ে বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে ইউ শেপের একাডেমিক ভবনের ৫ তলার রুমগুলো চাওয়া হয়। কিন্তু মিটিংয়ে বাংলা বিভাগকে আই শেপের ৬ষ্ঠ তলার পুরো এবং ৭ম তলার অর্ধেক দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান মিটিংয়ের এই সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি। এরপর মিটিং থেকে বের হয়ে তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আরিফ ওবায়দুল্লাহ বলেন, "গতকাল রাতে হঠাৎ করে উপাচার্য স্যার রুম বরাদ্দ বিষয়ে মিটিংয়ের ঘোষণা করেন। এর আগে আমাদের চিঠির মাধ্যমে ডিনদের দিয়ে রুমের চাহিদা চাওয়া হয়েছিল। সেখানে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা ইউ শেপের ভবনে রুম নেওয়ার কথা জানাই। তবে আজকের মিটিংয়ে ইউ শেপ ভবনে রুম বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।"
"আমরা বাংলা বিভাগসহ মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রায় প্রতিটি বিভাগ দীর্ঘদিন ধরেই টিনশেড মহুয়া ভবনের অস্থায়ী শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নিচ্ছি। আমরা বরাবরই এক ধরনের বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছি। এবার আমরা আশা করেছি আমরা ইউ শেপ বিল্ডিংয়ের রুম বরাদ্দ পাব। কিন্তু আমাদের তা দেওয়া হয়নি।"
তিনি আরও বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন থাকার পরও আরও নতুন ভবন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদকে দেওয়া হচ্ছে। অথচ মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের জন্য কোনো ভবনই নেই। ইউ শেপের বিল্ডিংয়ে রুম না পাওয়ার পরে বর্তমান বিজ্ঞান ভবনের ৫ম তলায় আমি রুম চাই। আমাকে বলা হয়েছে, সেখানেও রুম বরাদ্দ হয়ে গেছে। আমি সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু মিটিং থেকে বলা হয়েছে সিদ্ধান্ত যা হয়েছে সেটা চিঠি আকারে যাবে এবং এর বিরুদ্ধে কোনো কিছু করতে চাইলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অ্যাকশন নেওয়া হবে। এরপরই আমি মিটিং থেকে বের হয়ে চলে আসি। উপাচার্য স্যার আমাকে বলেন, প্রয়োজনে বাংলা বিভাগের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে তিনি বসবেন। এর মানে হচ্ছে আমার চেয়ারম্যান হিসেবে আমার কথার কোনো গুরুত্ব নেই।"
এ বিষয়ে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মীর খালেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, "উনার পদত্যাগের বিষয়ে আমি লিখিত কিছু পাইনি। উনার সাথে আমার দেখা হয়েছে, উনি আমাকে বললেন, স্যার আমি পদত্যাগ করেছি। এতটুকুই আমি জানি। এখন উনি কেন, কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সেটা বলতে পারব না। লিখিত পেলে হয়তো বিস্তারিত জানা যাবে।"
মুমু ২