
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের একটি দোকান থেকে প্রায় ১,০০০ ডলারের পণ্য চুরির অভিযোগে এক ভারতীয় নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ভিসাধারীদের জন্য কড়া সতর্কবার্তা জারি করেছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।
এক্স (পূর্বে টুইটার)–এ প্রকাশিত বিবৃতিতে মার্কিন দূতাবাস জানায়, “যুক্তরাষ্ট্রে হামলা, চুরি বা ডাকাতির মতো অপরাধ শুধুমাত্র আইনি ঝামেলাই নয়, এতে আপনার ভিসা বাতিল হতে পারে এবং ভবিষ্যতে আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ না–ও থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র আইন-শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং প্রত্যাশা করে যে বিদেশি নাগরিকরাও তা মেনে চলবেন।”
ঘটনার একটি বডিক্যাম ভিডিও ইউটিউব চ্যানেল @BodyCamEdition–এ প্রকাশিত হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, অভিযুক্ত নারী, যার নাম অ্যাভলানি, পুলিশের কাছে কাঁদতে কাঁদতে অনুরোধ করছেন, “আমি টাকা দিয়ে দিচ্ছি, কেন এটা নিতে পারবেন না?” উত্তরে এক কর্মকর্তা বলেন, “এখন আর সেটা সম্ভব নয়। আপনি একটি গুরুতর অপরাধ করে ফেলেছেন।”
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইনজীবী অ্যালেন তাকশ জানান, এই ধরনের অপরাধ — এমনকি বিচার না হলেও — একজন অভিবাসনপ্রত্যাশীর জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। “এটি একটি নৈতিকতার সঙ্গে জড়িত অপরাধ (Crime Involving Moral Turpitude), যা অসততার পরিচয় দেয় এবং এর পরিণতি হতে পারে অনেক ভয়াবহ।”
এই ঘটনার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রে চলমান অভিবাসন নীতির কঠোর অবস্থানকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির আওতায় জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত জাতিসংঘের হিসাব মতে ১ লাখ ৪২ হাজারের বেশি মানুষকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নতুন করে ভিসা আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট যাচাই, নিরাপত্তা যাচাই ও কিছু দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে — যদিও এসবের মধ্যে ভারত এখনো অন্তর্ভুক্ত নয়।
বিদেশ সফরকারী সকল ভিসাধারীকে যুক্তরাষ্ট্রের আইন কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে দূতাবাসের পক্ষ থেকে।
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
এম.কে.