
ছবি: সংগৃহীত
মোবাইল ফোন এখন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং আধুনিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর এই যুগে ফোন ছাড়া এক ঘণ্টাও কাটানো অনেকের জন্য কঠিন। তবে অসতর্কতায় বা চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় মোবাইল ফোন হারানোর ঘটনা বাড়ছে। এতে শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহারের আশঙ্কাও দেখা দেয়।
এই পরিস্থিতিতে হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার ও সংশ্লিষ্ট অপরাধ দমনে কাজ করছে ১২ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ডেডিকেটেড সাইবার ও সিডিআর এনালাইসিস শাখা।
১২ এপিবিএনের অতিরিক্ত ডিআইজি ও কমান্ডিং অফিসার মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, “অনেক সময় হারানো বা চুরি হওয়া ফোনের তথ্য দিয়ে ব্যবহারকারীকে সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়। ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায়ের চেষ্টা হয়। এ কারণে মোবাইলে সংরক্ষিত তথ্য এনক্রিপ্ট করে রাখা উচিত, যাতে তৃতীয় পক্ষ সহজে সেগুলো খুলতে না পারে।”
এপিবিএন-এর পরামর্শ অনুযায়ী, ফোন ব্যবহারকারীদের অবশ্যই ফোনের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি (আইএমইআই) নম্বর সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। ফোন হারালে বা চুরি হলে আইএমইআই নম্বর উল্লেখ করে অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। সেই জিডির কপি সরাসরি বা নির্ধারিত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে (০১৩২০-১৯৪০১৮ অথবা ০১৩২০-১৯৪০০৩) পাঠাতে হবে ১২ এপিবিএন-এ।
মোহাম্মদ ইকবাল আরও বলেন, “ফোন হারানোর পর দ্রুত জিডি করতে হবে এবং সেই কপি আমাদের কাছে পৌঁছাতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার বা সরাসরি যেকোনো উপায়ে পাঠানো যাবে।”
পুলিশ আরও পরামর্শ দিয়েছে, ফোনে বায়োমেট্রিক নিরাপত্তা সক্রিয় রাখতে হবে এবং হারানোর সঙ্গে সঙ্গেই সিম বন্ধ করতে হবে। কারণ, অপরাধীরা ফোনের সিম ব্যবহার করে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অর্থ দাবি করতে পারে।
মূল পরামর্শ:
-
আইএমইআই নম্বর সংরক্ষণ করুন
-
ফোন হারালে দ্রুত জিডি করুন
-
জিডির কপি এপিবিএন-এ পাঠান
-
ফোনে এনক্রিপশন ও বায়োমেট্রিক সুরক্ষা নিশ্চিত করুন
-
সিম দ্রুত বন্ধ করুন
এপিবিএন জানিয়েছে, এসব নিয়ম মানলে হারানো ফোন উদ্ধার সহজ হয় এবং অপরাধ ঠেকানো সম্ভব।
আবির