
ছবিঃ সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংকটে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে ইসরায়েলের প্রস্তাবিত ত্রাণ বিতরণ পদ্ধতিকে ঘিরে। ইসরায়েল ঘোষণা করেছে যে তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে বাইপাস করে সরাসরি সামরিক নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেবে। এই উদ্যোগকে রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেইলের হাতিয়ার বলে আখ্যা দিয়েছে হামাস।
জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা একে ‘ঝুঁকিপূর্ণ পরিকল্পনা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তারা বলছে, এটি ত্রাণ বিতরণের নিরপেক্ষতা ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলবে। ইসরায়েল গত নয় সপ্তাহ ধরে গাজায় সকল খাদ্য সরবরাহ কার্যত বন্ধ রেখেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫২,৫৬৭ জন নিহত এবং ১,১৮,৬১০ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে, গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ থাকায় প্রকৃত সংখ্যা ৬১,৭০০’র বেশি হতে পারে।
ইসরায়েলের সেনাপ্রধান জানিয়েছে, তারা দশ হাজারের বেশি রিজার্ভ সেনা ডেকে এনে গাজায় হামলা আরও বাড়াবে। এতে মানবিক বিপর্যয় আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে হামাস স্পষ্টভাবে বলেছে—ত্রাণ বিতরণ শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা বা স্বীকৃত স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমেই হতে হবে। সামরিক বা রাজনৈতিক স্বার্থে ত্রাণকে ব্যবহার করলে তা ‘ভয়াবহ মানবিক অপরাধ’ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এই ঘটনার পেছনে কূটনৈতিক সমীকরণ যেমন জটিল, তেমনি মানবিক দিক থেকেও এটি চরম উদ্বেগজনক। যুদ্ধের ভয়াবহতা ও আন্তর্জাতিক অনুশাসনের চরম চ্যালেঞ্জের মাঝে পড়ে গিয়েছে নিরীহ গাজাবাসী।
সূত্রঃ https://aje.io/a07e9c
আরশি