
ছবিঃ সংগৃহীত
ইসরায়েলের তেল আবিবে অবস্থিত বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হুতি বিদ্রোহীরা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সরাসরি আঘাত হানে।এই হামলায় কমপক্ষে ৮ জন আহত হন এবং বিমানবন্দরের কিছু অংশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ইসরায়েলের বিখ্যাত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম এই ক্ষেপণাস্ত্র থামাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়, যা দেশটির জনগণের মধ্যে আতঙ্ক এবং হতাশা সৃষ্টি করে।
আয়রন ডোম প্রযুক্তিগতভাবে বিশ্বে অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে পরিচিত, যার সফলতা হার ৯০ শতাংশেরও বেশি। কিন্তু হুতিদের এই হামলা প্রমাণ করলো, আঞ্চলিক প্রতিপক্ষরা এখন আরও উন্নত ও দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করছে, যা ইসরায়েলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই হামলাকে ‘ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বে সরাসরি আঘাত’ বলে আখ্যা দেন এবং বলেন, ইসরায়েল এভাবে হামলার শিকার হয়ে চুপচাপ বসে থাকবে না। হুতিদের এবং তাদের মদদদাতা ইরানের বিরুদ্ধে উপযুক্ত সময় ও পদ্ধতিতে জবাব দেওয়া হবে।
এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটলো, যখন গাজায় চলমান যুদ্ধের পাশাপাশি লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইরান এবং ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়ভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হুতিদের এই হামলা মূলত ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পরীক্ষার মধ্যে ফেলতে এবং আঞ্চলিক সহানুভূতি অর্জনের কৌশল।
হামলার পর কয়েক ঘণ্টার জন্য বিমান চলাচল বন্ধ ছিল, যার ফলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনা পর্যটন, আমদানি-রপ্তানি এবং অভ্যন্তরীণ আস্থার ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই হামলা শুধু একটি সশস্ত্র হামলা নয়, বরং এটি একটি বার্তা — মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ এখন শুধু গাজা বা সীমান্তে সীমাবদ্ধ নয়। ইসরায়েলের হৃদয়েও আঘাত হানার ক্ষমতা এখন তার প্রতিপক্ষদের রয়েছে। ফলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জটিল আকার নিতে পারে।
সূত্রঃ https://youtu.be/b2JITR3i0eI?si=Q_7jCgGPc9f4yztf
আরশি