
ছবিঃ সংগৃহীত
২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল, পর্যটনস্থল পাহেলগামে সশস্ত্র হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও এক স্থানীয় ঘোড়সওয়ার নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ভারতের দাবি, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের মদত রয়েছে, যদিও ইসলামাবাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাশ্মীরজুড়ে ধর-পাকড়, বাড়িঘর ভাঙচুর এবং পাকিস্তানি বাসিন্দাদের বিতাড়নের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। হামলার পর পর্যটন বন্ধ থাকায় কাশ্মীরের অর্থনীতি, বিশেষ করে পর্যটননির্ভর জীবনযাত্রা, ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমনই কিছু তথ্য।
আশিক নবি (৩৫) নামের একজন অ্যাডভেঞ্চার ট্যুর অপারেটর বলেন, যে তার মাসব্যাপী পরিকল্পনা ধ্বংস হয়ে গেছে। কর্মচারী ছাঁটাই, আর্থিক ক্ষতি ও পর্যটকদের অনাস্থা তাকে চরম হতাশায় ফেলেছে। ট্যাক্সি চালক রামিজ আহমদ (৪০) বলেন, হামলার পর থেকে তিনি কোনো যাত্রী পাননি এবং তাঁর পরিবার আজ খাদ্য সংকটে। চাকরি প্রার্থী আমির আহমদ (২৬)এরও একই অবস্থা। তিনি জানান, সামাজিক মাধ্যমে আগের একটি পোস্টের কারণে পুলিশ তাকে নজরদারিতে রেখেছে এবং এখন তিনি ঘর থেকে বের হতে ভয় পান।
অন্যদিকে সাফিয়া (৪০), পাকিস্তান থেকে আসা এক গৃহবধূ , যিনি একজন প্রাক্তন বিদ্রোহীর স্ত্রী, জানান যে তিনি ভারতে দশ বছর ধরে বসবাস করছেন এবং পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন না হওয়ার আকুতি জানান।
এদিকে বিহার থেকে আসা এক পরিযায়ী পানিপুরি বিক্রেতা আজমল (২১), বলেন, প্রথমে ভয় পেলেও বর্তমানে তিনি নিরাপদ বোধ করছেন এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।
কাশ্মীর বর্তমানে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, আর্থিক সংকট এবং সামাজিক আতঙ্কে ডুবে আছে। সাধারণ মানুষ জীবন, জীবিকা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর দুশ্চিন্তায় রয়েছে। অনেকের জন্য কাশ্মীর আজ এক খোলা কারাগারে পরিণত হয়েছে।
সূত্রঃ আল-জাজিরা
আরশি