
ছবিঃ সংগৃহীত
তিব্বত অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে। তবে চীনা সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণে তিব্বতে সাংবাদিক, কূটনীতিক এবং পর্যটকদের প্রবেশে নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনটি তিব্বতে প্রবেশের সীমাবদ্ধতা এবং এর পেছনের কারণসমূহ বিশ্লেষণ করে।
চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে (TAR) বিদেশি সাংবাদিক ও কূটনীতিকদের প্রবেশের জন্য বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয়, যা খুব কমই প্রদান করা হয়। ২০২২ সালে, যারা তিব্বতে রিপোর্টিংয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন, তাদের সবাইকে চীনা সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে। এমনকি যারা তিব্বতের বাইরের তিব্বতি অধ্যুষিত এলাকায় যেতে চেয়েছিলেন, তারাও নানা বাধার সম্মুখীন হয়েছেন ।
তিব্বতে প্রবেশের অনুমতি পেলেও, সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। তাদের চলাফেরা সীমিত করা হয়, স্থানীয়দের সাথে সাক্ষাৎকার নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে, এবং সর্বত্র নজরদারির মুখোমুখি হতে হয় । কূটনীতিকরাও তিব্বতে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারেন না; তাদের উপরও কঠোর নজরদারি রাখা হয়, এবং স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগে বাধা সৃষ্টি করা হয়।
তিব্বতে সাংবাদিক ও কূটনীতিকদের প্রবেশে চীনা সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কারণ। এই নিয়ন্ত্রণের ফলে তিব্বতের বাস্তব পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অজানা থেকে যায়। আন্তর্জাতিক চাপ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তিব্বতের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব হতে পারে।
সূত্রঃ https://youtu.be/8G7TTMaOOqU?si=DJRufTrlYbuwmrCX
আরশি