
ছবিঃ সংগৃহীত
মানবিক ত্রাণ নিয়ে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের একটি জাহাজ ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে। মাল্টার আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থানকালে ‘দ্য কনসন্স’ নামের জাহাজটিতে দুটি ড্রোন হামলা হয় বলে জানানো হয়েছে। এ হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের দিকেই উঠছে অভিযোগের আঙুল, যদিও তেলআবিব এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
জাহাজটিতে ৩০ জন মানবাধিকারকর্মী অবস্থান করছিলেন। তারা ইসরায়েলের অবরোধ উপেক্ষা করে গাজায় খাদ্য ও ওষুধসহ জরুরি ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ড্রোন হামলার ফলে ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায় এবং জাহাজটি সমুদ্রে অচল হয়ে পড়ে। ফলে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং সম্ভাব্য ডুবির আশঙ্কায় দ্রুত মাল্টা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা।
ফ্লোটিলা জানায়, তাদের পাঠানো এসওএস সিগনালের পর সাইপ্রাস থেকে একটি উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকল যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করে।
এই অভিযানে অংশ নেওয়ার কথা ছিল সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গেরও, তবে হামলার কারণে পুরো মিশন স্থগিত করা হয়েছে।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আমাদের পরিকল্পনা স্থগিত হয়েছে, কিন্তু ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি মানবিক করিডর খোলার লড়াই বন্ধ হবে না।”
এফএফসি ও আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম অভিযোগ করেছে, আন্তর্জাতিক জলসীমার আইন লঙ্ঘন করে এই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে এবং এ বিষয়ে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতদের দ্রুত তলব করে জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১০ সালে ফ্রিডম ফ্লোটিলার ছয়টি বেসামরিক জাহাজে অভিযান চালিয়েছিল ইসরায়েল। সে ঘটনায় ‘মাভি মারমারা’ নামের একটি তুর্কি জাহাজে ৯ মানবাধিকারকর্মী নিহত হন।
বিশ্বজুড়ে এ হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন আরব বিশ্ব নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে সমালোচনা চলছে।
মারিয়া