
ছবি: সংগৃহীত
গাজা উপত্যকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার পর এবার সিরিয়ায় তাণ্ডব শুরু করেছে বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী। হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অজুহাতে পুরো ফিলিস্তিনজুড়ে হামলা চালানোর পাশাপাশি এবার প্রতিবেশী সিরিয়াকেও নিশানা করেছে তেলআভিভ। সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে একের পর এক বিমান হামলায় কেঁপে উঠেছে নগরী।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো সরাসরি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের পাশের সামরিক স্থাপনাগুলোতে রকেট হামলা চালিয়েছে। একটি বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে গভীর রাতে ঘুমন্ত শহর দামেস্কের আকাশ কেঁপে ওঠে। প্রেসিডেন্ট ভবনের এত কাছে হামলা চালিয়ে ইসরায়েল কার্যত সরাসরি হুমকি দিয়েছে—দ্রুজ সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত এলে তারা চুপ করে থাকবে না।
প্রশ্ন উঠছে, কারা এই দ্রুজ? কেন হঠাৎ তাদের রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে ইসরায়েল? দ্রুজরা ইসলামের একটি ছোট উপধারার অনুসারী, যারা ছড়িয়ে আছে সিরিয়া, লেবানন এবং ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে। সম্প্রতি সিরিয়ায় সুন্নি ইসলামপন্থী মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সঙ্গে দ্রুজদের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ নিহত হয়। এরই প্রেক্ষিতে ইসরায়েল সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ শুরু করে।
তবে ইসরায়েলের এই 'রক্ষার' বার্তা দ্রুজ সম্প্রদায়ের ভেতরেই বিভক্তি তৈরি করেছে। সিরিয়ার সুইদা প্রদেশে এক জরুরি বৈঠকে দ্রুজ নেতারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তারা সিরিয়ার নাগরিক এবং নিজেদের রক্ষা করতে নিজেরাই যথেষ্ট—ইসরায়েলের তথাকথিত অভিভাবকত্ব তারা প্রত্যাখ্যান করছে। সিরিয়ার নতুন সরকারও এই হামলাকে “বিপজ্জনক উসকানি” বলে অভিহিত করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে পুঁজি করে ইসরায়েল এখন সরাসরি পক্ষ নিচ্ছে, যা শুধু সিরিয়াকেই নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে নতুন করে অস্থির করে তুলতে পারে। ইতিমধ্যেই গাজা ধ্বংসের পর ইসরায়েল-লেবানন, ইরান এবং ইয়েমেন সম্পর্কিত উত্তেজনাও তীব্র হয়ে উঠেছে।
ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=ASuv5O7WLVU
এম.কে.