
ছবি: সংগৃহীত
জীবনে চলার পথে আমরা প্রায়ই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হই, যখন কোনো ব্যক্তি অকারণে খারাপ ব্যবহার করেন বা কটু কথা বলেন। তবে মনোবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এমন আচরণ আসলে ব্যক্তিগত হতাশা, দুঃখ, মানসিক চাপ কিংবা বোঝার সীমাবদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ-যা তার নিজের সমস্যা, ভুক্তভোগীর নয়।
একজন মানুষের আচরণ অনেকাংশেই নির্ভর করে তার মানসিক অবস্থার ওপর। তার ভিতরে লুকিয়ে থাকা কষ্ট, না-পাওয়া, দুঃখ, অথবা দিনভর বিরক্তির ফলেই অনেক সময় সে অন্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। এটা একান্তই তার মনোজগতের প্রতিফলন, যা আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। এবং যদি আপনি তাতে প্রতিক্রিয়া জানান, তবে আপনি নিজের মানসিক শান্তিকে তার নেতিবাচকতায় আটকে ফেলবেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন “একজন মানুষ অন্যকে যতটুকু চেনেন, বুঝেন বা দেখেন, তার ভিত্তিতেই তিনি প্রতিক্রিয়া জানান। কিন্তু সেই মানুষটির পুরো জীবন, প্রেক্ষাপট, অভিজ্ঞতা বা পাশে কারা আছেন—তা হয়তো তিনি জানেনই না।” তাই তার আচরণ একচোখা দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন মাত্র।
তাদের মতে, প্রতিটি নেতিবাচক আচরণের জবাব রেগে বা প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং এর সেরা জবাব হতে পারে-নীরবতা, নিজের কাজে এগিয়ে যাওয়া, বিনয় ও ভালোবাসার মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানানো।
তবে যদি এমন কেউ আপনার খুব কাছের মানুষ হন-যাকে আপনি দূরে ঠেলে দিতে পারেন না, ইগনোর বা ব্লক করতে পারেন না-তাহলে তার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে, ধৈর্য ধরে ও ভালোবাসা দিয়ে তাঁর নেতিবাচক অভ্যাস পরিবর্তনের চেষ্টা করা যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, “অন্যকে প্রকাশ্যে অপমান করে বা সমালোচনা করে তার উন্নতি সম্ভব নয়। বরং একান্ত আলাপে, সম্মানের সঙ্গে বলা-‘তোমার এই আচরণটা তোমার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই নয়’-এটাই হতে পারে পরিবর্তনের পথ।”
তবে, “সব মানুষের সমস্যা আপনি সমাধান করতে পারবেন না, সবাইকে খুশিও করা সম্ভব নয়। নিজের শান্তি ও ইতিবাচকতা বজায় রাখাই সবার আগে।”
সূত্র: https://shorturl.at/lR2y5
মিরাজ খান