ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছরের পবিত্র হজ কার্যক্রম শুরু হলেও এখনো ভিসা পাননি বাংলাদেশের ১৪ হাজারেরও বেশি নিবন্ধিত হজযাত্রী। এতে করে তারা অনিশ্চয়তা ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার ১৫৪ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে গমন করেছেন। তাদের মধ্যে রাজবাড়ীর পাংশার বাসিন্দা খলিলুর রহমান নামে একজন হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানা গেছে।
চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজ পালনের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৮১ হাজার ৯০০ জন।
২৯ এপ্রিল থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ঢাকা ছেড়ে গেছে মোট ৩৭টি ফ্লাইট। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১৫টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ১২টি এবং ফ্লাই নাস এয়ারলাইনসের ১০টি ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। বিমানে গেছেন ৬ হাজার ২০২ জন, সৌদি এয়ারলাইনসে ৪ হাজার ৮৫৮ জন এবং ফ্লাই নাসে ৪ হাজার ৯৪ জন হজযাত্রী।
হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও সহজ ও আধুনিক করতে এ বছর হাজিদের জন্য ‘লাব্বাইক’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। এই অ্যাপে প্রয়োজনীয় তথ্য, যোগাযোগ সুবিধা এবং সহায়তা ফিচার যুক্ত রয়েছে। হাজিদের দেওয়া হয়েছে প্রিপেইড হজ কার্ড ও মোবাইল সিমের রোমিং সুবিধাও। ৩১ মে পর্যন্ত চলবে হজ ফ্লাইট। ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন থেকে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, সুষ্ঠু ও শৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক নির্দেশনায় জানিয়েছে—কোনোভাবেই অনুমতি ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা করা যাবে না। মক্কা বা অন্যান্য পবিত্র স্থানে ভিজিট ভিসায় অবস্থান না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ভিজিট ভিসায় অবস্থানকারীকে হজ কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান, আবাসন, পরিবহণ বা সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশে সহযোগিতা করতেও নিষেধ করা হয়েছে।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও হুঁশিয়ার করে বলেছে, হজ পারমিট ছাড়া কেউ হজ পালনের চেষ্টা করলে তাকে ২০ হাজার সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। কেউ সহায়তা করলেও তার জন্য রয়েছে ১ লাখ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা ও যানবাহন বাজেয়াপ্ত করার বিধান। কোনো বিদেশি নির্ধারিত সময়ের বেশি অবস্থান করলে তাকে বহিষ্কার করা হবে এবং ১০ বছর সৌদি আরবে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
হজযাত্রীদের ভিসা কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার পাশাপাশি সরকারের প্রতি আবেদন—যাতে অবশিষ্ট যাত্রীরা সময়মতো পবিত্র হজে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
এসএফ
