
ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আমাদের মূল লক্ষ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করা এবং এই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা। তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থে ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা দল এবং জোটকে কিছুটা ছাড় দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আজ ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের আলোচনায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। এসময় কমিশনের সদস্য হিসেবে ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, আমরা সকলেই জাতীয় ঐকমত্যের প্রচেষ্টায় সমবেত হয়েছি। রাষ্ট্র পুনর্গঠন এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দল এবং জোটগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দিবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা জাতি ও রাষ্ট্রের অগ্রসর হওয়ার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় দাবি করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরো বলেন, আমাদের সকলকে ঐক্যমতে আসতে হবে। তার অর্থ এই নয় যে আমরা সব বিষয়ে একমত হতে পারব।
আলোচনায় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক এডভোকেট ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ডা. সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম এন শাওন সাদিকী, কারী আবু তাহেরসহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলো স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। এ পর্যন্ত ২২টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সাথে আলোচনায় অংশ নিয়েছে।
আবীর