
ছবি: সংগৃহীত
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তিন চাকার একটি স্টাইলিশ সুপার কার এখন মহাসড়কে রীতিমতো চমক সৃষ্টি করেছে। মাত্র ৫২ ঘণ্টায় তৈরি এই গাড়িটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা। গাড়িটির নির্মাতা তরুণ উদ্ভাবক বুলবুল, যিনি নিজের শ্রম, মেধা ও সীমিত সরঞ্জাম ব্যবহার করে গাড়িটি তৈরি করেছেন।
গাড়িটির চেসিস তৈরি হয়েছে রিসাইকেল স্টিল দিয়ে এবং ছাদ ও বডিতে ব্যবহার করা হয়েছে পাটজাত পণ্য। ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে গো-কার্ট ইঞ্জিন, যার সাহায্যে এখন পর্যন্ত গাড়িটি ১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতি তুলতে পেরেছে। বুলবুল আশা করছেন, ভবিষ্যতে এটিকে ৩০০ কিমি পর্যন্ত গতি দিতে পারবেন।
বুলবুলের দাবি, তার তৈরি গাড়ি প্রচলিত গাড়ির তুলনায় অনেক কম জ্বালানি খরচ করে। যেখানে একটি সাধারণ গাড়ির জন্য ১ হাজার টাকার জ্বালানি প্রয়োজন, সেখানে এই গাড়িটি মাত্র ৩০০ টাকায় সমতুল্য কার্যক্ষমতা দিতে সক্ষম। এটি পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল এমনকি কেরোসিনেও চলতে পারে। ভবিষ্যতে এতে হাইড্রোজেন রিফাইন প্রযুক্তি যুক্ত করারও পরিকল্পনা রয়েছে।
গাড়িটির নকশায় দুইজন আরোহীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পেট্রোলিং, পুলিশি তৎপরতা বা কৌশলগত সামরিক কাজে এটি ব্যবহার করতে পারে। এতে যেকোনো রকম ইকুইপমেন্ট যুক্ত করারও সুযোগ রয়েছে।
এই সুপার কারটির এখনো কোনো নাম নেই, শুধুমাত্র সি-০১৯ সিরিয়াল নম্বর রয়েছে। এটি বুলবুলের নিজ হাতে তৈরি ১৯তম গাড়ি। তিনি জানান, ভবিষ্যতে একটি উপযুক্ত নাম ঠিক করবেন এবং কারো সহায়তা পেলে আরও আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন করবেন ।
বুলবুল শুধু সুপার কার নয়, বরং প্রতিবন্ধীদের উপযোগী গাড়িও তৈরি করছেন নিয়মিতভাবে। এখান থেকেই শুরু হয়েছে তার উদ্ভাবনের যাত্রা। উচ্চশিক্ষা না থাকলেও সাহস, পরিশ্রম ও স্বপ্নের জোরে দেশীয় প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছেন এই তরুণ উদ্ভাবক।
বুলবুলের মতো উদ্ভাবকের পাশে দাঁড়ানো জরুরি। কারণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এমন একটি গাড়ি শুধু প্রযুক্তির সম্ভাবনাই নয়, বরং বাংলাদেশের গর্বও। সরকার ও বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় হয়তো একদিন এই গাড়ি ছুটবে আন্তর্জাতিক বাজারেও।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=_Kht_HIrR54
রাকিব