
ছবি: প্রতীকী
ভারতের জন্য এখন একের পর এক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে নতুন কৌশলগত সিদ্ধান্তে একদিকে যেমন কূটনৈতিক হাওয়া বদলাচ্ছে, অন্যদিকে সরাসরি নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে দিল্লির জন্য। আর সেই হুমতির নাম এখন লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি।
বাংলাদেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে গড়ে উঠতে যাচ্ছে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানঘাঁটি। এটি ভারতের সবচেয়ে স্পর্শকাতর করিডোর ‘চিকেন নেক’ থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে। মূলত এই করিডোর দিয়েই ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা হয়। এ কারণেই এই বিমানঘাঁটি ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নতুন এই বিমানঘাঁটিতে থাকবে ৪ হাজার মিটার দীর্ঘ রানওয়ে, ৭০টি যুদ্ধবিমান রাখার সুবিধা, অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেম, রিফুয়েলিং ও মেইনটেনেন্স জোন, এমনকি ভবিষ্যতে যুদ্ধবিমান তৈরির পরিকল্পনাও। এটি হবে আধা সামরিক ও বেসামরিক দুইভাবেই পরিচালিত একটি মাল্টিফাংশনাল হাব।
চীন একাই এই প্রকল্পে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে। পাশাপাশি কাতার এবং তুরস্ক যথাক্রমে ড্রোন ও রাডার প্রযুক্তিতে ২০০ ও ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও অনানুষ্ঠানিক আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ইতোমধ্যেই এটিকে ‘চিকেন নেকের নিরাপত্তা চীনের হাতে তুলে দেওয়া’ বলে অভিহিত করেছে। তবে বাংলাদেশ জানিয়েছে, এই প্রকল্প সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের মালিকানাধীন এবং চীন কেবল নির্মাণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় অংশ নিচ্ছে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=rLKz8O_w4uA
রাকিব