
ছবি: সংগৃহীত
কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। উভয় দেশই পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিচ্ছে।
গত ২২ এপ্রিল ভারতের কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ এক সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। ২০০০ সালের পর এটি অঞ্চলটির অন্যতম মারাত্মক হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। হামলার জন্য ভারত পরোক্ষভাবে পাকিস্তানকে দায়ী করলেও এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ভারত প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজসমূহের নিজ দেশের বন্দরে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। ভারতের এই সিদ্ধান্তের জবাবে এবার পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে পাকিস্তানও।
পাকিস্তানের দৈনিক দ্য ডন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (৪ মে) পাকিস্তান সরকার ভারতের পতাকাবাহী সব ধরনের জাহাজের জন্য তাদের বন্দরসমূহ ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। একইসঙ্গে পাকিস্তানি পতাকা বহনকারী কোনো জাহাজও আর ভারতের বন্দরে ভিড়বে না বলেও জানানো হয়।
দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের এই নিষেধাজ্ঞা পারস্পরিক বাণিজ্যিক যোগাযোগে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলেরও উদ্বেগ বাড়ছে, কারণ দক্ষিণ এশিয়ায় এই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কেবল সীমান্ত নয়, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক খাতেও ছড়িয়ে পড়েছে।
বর্তমানে কাশ্মির পরিস্থিতি ও সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ ঘিরে দুই দেশের মধ্যে পুনরায় বিরোধ চরমে উঠেছে। এর ফলে ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতির আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।
ফারুক