
কর্নাটকের আবাসন, ওয়াকফ ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী বিজেড জামির আহমেদ খান।
পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক যখন চরম উত্তেজনায়, ঠিক তখনই কর্নাটকের আবাসন, ওয়াকফ ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী বিজেড জামির আহমেদ খানের এক বিস্ফোরক মন্তব্য নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “দেশ যদি চায়, আমি আত্মঘাতী বোমা পরে পাকিস্তানে যেতে প্রস্তুত।” নিজের বক্তব্যকে হালকা না ভেবে তিনি আরও বলেন, “আমি মজা করছি না, আবেগে বলছিও না। প্রধানমন্ত্রী মোদী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যদি আত্মঘাতী বোমা দেন, আমি পরে পাকিস্তানে যাব। আমরা ভারতীয়, আমাদের পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। যুদ্ধ লাগলে, আমি প্রস্তুত।”
এই মন্তব্য আসে এমন এক সময়ে, যখন তারই দল কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার সাম্প্রতিক এক বিবৃতি নিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে আলোচনা চলছে। তিনি বলেছিলেন, “যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও কড়া করা উচিত।” পরে অবশ্য তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “যুদ্ধ সর্বশেষ বিকল্প হওয়া উচিত। কূটনৈতিক পথে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ইতোমধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে—সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, অটারি সীমান্ত বন্ধ এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক নিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ‘মন কি বাত’ ভাষণে বলেন, “পাহেলগাম হামলার পরিকল্পনাকারীরা সবচেয়ে কঠোর জবাব পাবে। পুরো বিশ্ব ভারতের পাশে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ন্যায়বিচার পাবে, এটা নিশ্চিত।”
এই প্রেক্ষাপটে কর্নাটকের মন্ত্রীর এমন চরম মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়িয়েছে। বিরোধী বিজেপি ইতোমধ্যে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেছে, "দেশপ্রেম নয়, দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যে ঘৃতাহুতি দেওয়া হচ্ছে।"
এমন বক্তব্য রাজনীতির ময়দানে কী প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলবে। তবে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে এমন বক্তব্য নিঃসন্দেহে নতুন করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
মুমু