
ছবিঃ সংগৃহীত
পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা দ্রুত বেড়ে চলেছে। এমন এক সময়ে পাকিস্তান শনিবার সফলভাবে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র "আবদাল" এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে, যা ৪৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মতে, এই উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্য ছিল সেনাদের অপারেশনাল প্রস্তুতি যাচাই এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা মূল্যায়ন করা।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সফলতার জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারী এবং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এদিকে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দাবি, ভারত যে কোনো সময় পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে। এমন আশঙ্কায় কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলওসি-র দুই পাশের সাধারণ মানুষ ইতোমধ্যেই বাংকার নির্মাণ শুরু করেছেন।
এক বাসিন্দা বলেন, “যখন যুদ্ধ শুরু হয়, তখন আমরা বাংকার তৈরি করে পরিবারকে রক্ষা করার চেষ্টা করি। আমরা সেনাবাহিনীর পাশে আছি, পাকিস্তানের পাশে আছি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না—এখানেই থাকবো। আমাদের শুধু কিছু আশ্রয় দরকার, বিশেষ করে আমাদের শিশুদের নিরাপত্তার জন্য।”
তিনি আরও বলেন, “যদি ভারত হামলা করে, পাকিস্তানি জনগণ ঐক্যবদ্ধ থেকে লড়াই করবে। শুধু সেনাবাহিনী নয়, সমস্ত রাজনৈতিক দলও ভারতবিরোধী অবস্থানে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়বে।”
জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্ত অঞ্চলকে বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৪৯ সালে জাতিসংঘ একে যুদ্ধবিরতির রেখা বা 'সিসফায়ার লাইন' হিসেবে ঘোষণা করলেও, পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি অনুযায়ী এটি ‘নিয়ন্ত্রণ রেখা’ (LoC) হিসেবে স্বীকৃত হয়।
বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশকেই সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে উৎসাহিত করছে। পাশাপাশি গ্রিস জানিয়েছে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এই সংকট নিয়ে শিগগিরই বৈঠক ডাকা হতে পারে।
মারিয়া