
ছবি: সংগৃহীত
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ইন্দাস পানি চুক্তি স্থগিতকরণ, সীমান্ত বন্ধ ও পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার। পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে সীমান্ত বন্ধ, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ও আকাশসীমা বন্ধ করেছে। এছাড়া, কাশ্মীর সীমান্ত বরাবর দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময় চলছে।
এই পরিস্থিতিতে, রাশিয়ায় নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ খালিদ জামালি ভারতকে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি ভারত পাকিস্তানে হামলা চালায় বা পানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায়, তাহলে ইসলামাবাদ পারমাণবিক অস্ত্রসহ পূর্ণ সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতে পারে। তিনি আরও দাবি করেন, পাকিস্তানের কাছে বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে ভারত পাকিস্তান ভূখণ্ডে সামরিক হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফও ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, পেহেলগাম হামলাকে 'ফলস ফ্ল্যাগ' অপারেশন হিসেবে ব্যবহার করে ভারত ইন্দাস পানি চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, ভারত এই হামলাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান এই হামলায় কোনোভাবে জড়িত নয় এবং আন্তর্জাতিক তদন্তের জন্য প্রস্তুত।
এদিকে, ভারতও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ তুলে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এই পরিস্থিতি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়িয়েছে।
শিহাব