
ছবিঃ সংগৃহীত
ভোরের আলো ফোটার আগেই রুশ ড্রোন হামলায় পুড়েছে ইউক্রেনের খারকিব অঞ্চলের ছোট্ট গ্রাম ভিলিকি বোরলোক। শনিবার ভোরে গ্রামটিতে অন্তত ১০টি ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া, যার ফলে একটি বেসামরিক স্থাপনা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। এই হামলায় হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
এর আগে, খারকিবের মূল শহরে আরও একটি বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। স্থানীয় মেয়রের মতে, ওই হামলায় অন্তত ১৭টি ড্রোন ব্যবহার করা হয় এবং এতে অর্ধশতাধিক বেসামরিক নাগরিক আহত হন। তিনি অভিযোগ করেন, ইউক্রেনের অকার্যকর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সুযোগ নিচ্ছে মস্কো।
ঘনঘন হামলার কারণে উদ্ধার তৎপরতায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের। তাদের সঙ্গে সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে স্থানীয়রাও। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে তিনি ব্যালকনিতে এসে দেখতে পান পাশের ভবনে আগুন লেগেছে। তিনি দ্রুত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নিয়ে ছুটে গিয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নেন। পরে জরুরি বাহিনী এসে অভিযানে যোগ দেয়।
জবাবে, ইউক্রেন রাশিয়ার বন্দরনগরী নভোরোসিস্কে ড্রোন হামলা চালায়। এতে একটি বহুতল ভবনে আগুন ধরে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করে স্থানীয় প্রশাসন। একইসঙ্গে ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা রাশিয়ার একটি এসইউ সিরিজের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে।
এদিকে রাশিয়ার ৮০তম বিজয় দিবস (৮ ও ৯ মে) ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে। পুতিন ওই উপলক্ষে তিন দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে ইউক্রেন এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “আমাদের দেশ তিন দিনের জন্য পুতিনের বিনোদনের খোরাক হবে না।” তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন, বিজয় দিবসে রাশিয়ায় উপস্থিত বিশ্বনেতারা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, পুতিন কোনও উস্কানি সহ্য করবেন না এবং ইউক্রেনের কাছ থেকে স্পষ্ট জবাব প্রত্যাশা করছেন।
মারিয়া