
ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশে নতুন টাকার চাহিদা এখন প্রায় জাতীয় দাবি হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে ৫ই আগস্টের ‘জুলাই বিপ্লব’-এর পর থেকেই। বর্তমানে বাজারে প্রচলিত বেশিরভাগ নোট ছেঁড়া, ময়লা এবং পুরনো। এসব নোট বদলাতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য দিতে হচ্ছে, যা জনভোগান্তি বাড়াচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, নতুন নোট ছাপানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ব্যাংকের লক্ষ্য ছিল অর্থবছরের শেষ নাগাদ (এন্ড অফ দা ইয়ার) নয় প্রকারের নতুন নোট বাজারে ছাড়া। তিনি বলেন, "আমরা ছাপানো শেষ করলেই ইস্যু করা শুরু করব। কারণ ছাপানোর কাজ শেষ হলে ইস্যু করাটা এক-দুই দিনের ব্যাপার মাত্র।"
তিনি আরও জানান, গাজীপুরে অবস্থিত সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন থেকে নতুন নোট ঢাকায় আনা হবে এবং তারপর বাজারে ছাড়া হবে।
নতুন নোটের নকশা, আকার ও কাগজের মান সম্পর্কেও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তারা জানান:
নকশা: নোটে থাকবে ৫ই আগস্টের 'জুলাই বিপ্লব'-এর প্রতিফলন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী দৃশ্যাবলি ও প্রতীকও থাকবে।
আকার: আগের মতোই থাকবে, কোনো পরিবর্তন আসছে না।
কাগজের মান: উন্নতমানের কাগজ ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, এখনই এ বিষয়ে বিশদ কিছু জানায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে তারা নিশ্চিত করেছে, মানসম্পন্ন কাগজেই ছাপা হবে নতুন নোট।
প্রতিবছর বাংলাদেশে নতুন টাকার চাহিদা থাকে প্রায় ১৫০ কোটি পিস, অথচ টাকশাল ছাপাতে পারে সর্বোচ্চ ১২০ কোটি পিস। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন মূল্যমানের প্রায় ৯৫ কোটি পিস নতুন নোট ছেপেছে বলে জানা গেছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে বাজারে মোট প্রচলিত টাকার পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা ছিল জনগণের হাতে, ২৬ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা ছিল ব্যাংকগুলোর ভল্টে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা ছিল ৭৬ হাজার ২২০ কোটি টাকা।
মারিয়া