
ছবিঃ সংগৃহীত
পাহালগামে ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক চরম অবনতির দিকে যায়। অধিকাংশ নিহতই ছিলেন পর্যটক। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ১৯৬০ সালের 'সিন্ধু পানি চুক্তি' স্থগিত করার ঘোষণা দেয়।
এই চুক্তি স্থগিতের জেরে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, "ভারত যদি সিন্ধু নদে কোনো ধরনের কাঠামো নির্মাণের চেষ্টা করে, আমরা সেটি ধ্বংস করে দেব।"
তিনি আরও বলেন, "কোনো কাঠামো নির্মাণ আমাদের ওপর আগ্রাসন বলেই বিবেচিত হবে। আগ্রাসন মানেই শুধু গোলাবর্ষণ বা গুলি নয়, পানি আটকে দেওয়া কিংবা মোড় ঘুরিয়ে দেওয়াও এক ধরনের আগ্রাসন—যার ফলে অনাহার বা তৃষ্ণায় মৃত্যু হতে পারে।"
জিও নিউজ-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "যদি ভারত স্থাপত্যগত কোনো উদ্যোগ নেয়, তাহলে পাকিস্তান তা ধ্বংস করে দেবে। তবে এখনই আমরা আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়টি উত্থাপন করছি, শুরুটা 'সিন্ধু পানি চুক্তি' থেকেই।"
সূত্র অনুসারে, পাকিস্তান কূটনৈতিকভাবে ভারতের এই একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি জানাতে যাচ্ছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র, আইন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
এদিকে শনিবার পাকিস্তান ৪৫০ কিমি রেঞ্জের ‘আব্দালি’ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি প্রশিক্ষণ উৎক্ষেপণও চালায়।
এর আগে, ২৪ এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা দেন, পাহালগাম হামলার সঙ্গে জড়িতদের এবং তাদের মদতদাতাদের কঠোরভাবে শাস্তি দেওয়া হবে। ২৯ এপ্রিল এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন যে তারা কবে, কোথায় ও কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেবে, তা নিজেরা নির্ধারণ করতে পারবে।
মারিয়া