ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

কঁচা ও বলেশ্বর নদীর ডুবোচরে ভেঙে পড়েছে নৌযান যোগাযোগ ব্যবস্থা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর

প্রকাশিত: ১৩:০৪, ৪ মে ২০২৫

কঁচা ও বলেশ্বর নদীর ডুবোচরে ভেঙে পড়েছে নৌযান যোগাযোগ ব্যবস্থা

ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুর জেলার উপকূলবর্তী উপজেলা ইন্দুরকানীর কঁচা ও বলেশ্বর নদীতে শুকনা মৌসুমে জেগে ওঠা ডুবোচরের কারণে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌযান চলাচল। এতে ফেরি ও যাত্রীবাহী ট্রলারসহ পণ্য পরিবহনকারী নৌযানগুলোর চলাচলে দেখা দিয়েছে চরম বিপর্যয়। ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও।

এক সময় দক্ষিণাঞ্চলের নদীপথের অন্যতম প্রাণ ছিল কঁচা ও বলেশ্বর নদী। তবে গত আট বছর ধরে শুকনা মৌসুমে এসব নদীতে চর জেগে ওঠায় চলাচল ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়েছে। এর ফলে এলাকাজুড়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ইন্দুরকানীর টগড়া ফেরিঘাটের পশ্চিম পাশে কঁচা নদীতে প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চর জেগে উঠেছে। একইভাবে বলেশ্বর নদীর শহীদ ফজলুল হক মনি সেতুর উত্তর পাশে নদীর তীরঘেঁষে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় চরের অস্তিত্ব দেখা গেছে। এতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ফেরি চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

ফেরি আটকে যাওয়ার ফলে যাত্রীদের ট্রলারে নদী পার হতে হচ্ছে, যার ফলে বাড়ছে ঝুঁকি ও দুর্ভোগ। নৌযান শ্রমিকরা জানিয়েছেন, কঁচা নদীর সন্ন্যাসী পয়েন্টসহ একাধিক স্থানে রয়েছে ছোট-বড় বহু ডুবোচর, যা নৌচলাচলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমবি নামে একটি নৌযানের মাস্টার তরিকুল ইসলাম জানান, ডুবোচরের কারণে মাঝে মধ্যেই তাদের সন্ন্যাসী পয়েন্টে নৌযান থামিয়ে রাখতে হয় এবং জোয়ার না আসা পর্যন্ত যাত্রা শুরু করা যায় না। কঁচা নদীর টগড়া পয়েন্টে নদীর অর্ধেকাংশে চর পড়ায় যেকোনো সময় নৌযান আটকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ইন্দুরকানী বাজার সমিতির সভাপতি মো. হারুন অর রশিদ জানান, নদীপথে মালপত্র পরিবহনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে সড়কপথ ব্যবহার করছেন, যা তাদের খরচ দ্বিগুণ করে দিচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারেও।

পাড়েরহাট ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. আ. রাজ্জাক জানান, কঁচা নদীর টগড়া প্রান্তে অর্ধেকেরও বেশি এলাকায় চর পড়ে যাওয়ায় জোয়ার ছাড়া অন্য সময় নৌযান চলাচলে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। এতে টগড়া-চরখালী রুটে ফেরি চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি’র বরিশাল ড্রেজিং বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন উর রশীদ বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় এখনই খনন কাজ শুরু করা সম্ভব নয়। তবে আগামী অর্থবছরের শুকনা মৌসুমে কঁচা ও বলেশ্বর নদীর ডুবোচর খননের কাজ শুরু করা হবে।

ফারুক

×