
সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং লোকালয়ে বন্যপ্রাণীর অনুপ্রবেশ রোধে শুরু হয়েছে বেড়া নির্মাণ। ফলে বনের আশপাশের গ্রামবাসীর মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে। গত বছরের আগস্টে ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু হয়, যার মধ্যে ইতোমধ্যে ১৫ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বাগেরহাটের শরণখোলা ও মোড়লগঞ্জ উপজেলাকে সুন্দরবন থেকে পৃথক করেছে ভোলা ও খর্মা নদী। তবে নদীগুলোর অধিকাংশ অংশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বাঘ, হরিণ ও বন্য শূকরসহ বিভিন্ন প্রাণী সহজেই লোকালয়ে ঢুকে পড়ত। এতে যেমন এসব প্রাণী নিধনের শিকার হতো, তেমনি মানুষ ও গৃহপালিত প্রাণীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার আশঙ্কাও বাড়ত। এই দ্বিমুখী সংকট নিরসনে বন বিভাগ উদ্যোগ নেয় বেড়া নির্মাণের।
বেড়া নির্মাণের অগ্রগতিতে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে তারা দাবি তুলেছেন, ভরাট হয়ে যাওয়া নদীগুলোর খনন দ্রুত শুরুর। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বেড়া সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মুমু