
ছবিঃ সংগৃহীত
প্রায় ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জুবায়দা রহমান। তার এই প্রত্যাবর্তন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে নানা আলোচনা ও জল্পনা। অনেকের ধারণা, তিনি এবার সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হতে পারেন।
চা রপ্তানিতে শীর্ষে থাকা বাংলাদেশের এই সময়ে, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ডা. জুবায়দা রহমান। নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান মাহবুব আলী খানের কন্যা জুবায়দা একজন মেধাবী চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৫ সালের বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন চিকিৎসা পেশায় যুক্ত থাকলেও রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন না। তবে, ২০০৮ সালে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার নামে দুর্নীতির মামলা হয় এবং তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ২০১৪ সালে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে চাকরি হারান।
অসুস্থ স্বামী তারেক রহমানের পাশে থাকতে তিনি দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থান করছিলেন। বর্তমানে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় এবং মায়ের (সৈয়দা ইকবাল মান্ধব বানু) অসুস্থতার কারণেও দেশে ফিরেছেন তিনি। তবে, এটিই কি শুধুমাত্র পারিবারিক সফর, নাকি রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখার প্রস্তুতি—এই প্রশ্নে মুখ খুলতে নারাজ বিএনপি নেতারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, "তিনি যদি রাজনীতিতে যোগ দেন, আমরা তাকে স্বাগত জানাবো।" রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জুবায়দা রহমান রাজনীতিতে সক্রিয় হলে বিএনপির নৈতিক শক্তি ও জনপ্রিয়তা—দুই-ই বাড়বে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সাব্বির আহমদ বলেন, "দীর্ঘদিন রাজনৈতিক পরিবারে থাকার কারণে তার যথেষ্ট রাজনৈতিক পরিপক্বতা হয়েছে। তিনি নেতৃত্ব দিতে সক্ষম এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অভাব অনেকাংশে পূরণ করতে পারেন।"
জুবায়দা রহমানের প্রতি সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সাধারণ মানুষের আগ্রহ ও সমর্থন রয়েছে। ফলে তিনি যদি রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হন, তা বিএনপির জন্য হতে পারে একটি নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত।
মারিয়া