
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা কলেজের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লাকি খাতুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পর্দা প্রথা নিয়ে মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, শুক্রবার (২ মে) নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি ‘Lacky Khatun’ থেকে দেওয়া একটি পোস্টে লাকি খাতুন লেখেন, ‘চেহারা যদি এভাবে ঢাকতে হয়, আল্লাহ মুখ দিলেন কেন? পর্দা প্রথা খুবই ভয়ংকর অশিক্ষিত প্রথা। সামান্য সেন্স দিয়ে চিন্তা করলেই বুঝা যায়, পুরুষেরাই নিঃস্বার্থে নারীর উপর এটা চাপিয়ে দিয়েছে। অথচ নিজেরা তা মানে না। এটা আল্লাহর নামে পুরুষেরা নারীর উপর চালিয়ে দিচ্ছে। যদি এটা আল্লাহর নির্ধারিত হতো, নারীদের কচ্ছপের মতো স্থায়ী খোলস দিয়ে জন্ম দেওয়া হতো।’
এই পোস্টের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। শনিবার (৩ মে) দুপুরে একদল ধর্মপ্রাণ মুসল্লি নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)এর কাছে লিখিত অভিযোগ ও স্মারকলিপি দেন।
এ বিষয়ে (ইউএনও) সিব্বির আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শিক্ষিকার এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে সামাজিক ও ধর্মীয় মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এলাকাবাসী দ্রুত তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এবিষয়ে লাকি খাতুনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা এবিষয়ে বলেন, ‘তাকে আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলছে। তবে তিনি ইতোমধ্যে ভিডিও বার্তা ও স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন।
মুমু