
ছবিঃ সংগৃহীত
চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি গত বছরের তুলনায় কমে গেছে ৫৮ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে, একই সময়ে ঋণ পরিশোধ বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। পরিকল্পনা বিভাগ বলছে, এখন প্রকল্প গ্রহণে বেশি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে, তাই প্রতিশ্রুতি কমার বিষয়টি স্বাভাবিক।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের নয় মাসে বাংলাদেশ ৩২১ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করেছে, যা গত অর্থবছরের পুরো সময়ে পরিশোধিত অর্থের প্রায় সমান। এর মধ্যে ১২০ কোটিরও বেশি ডলার সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে।
বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এই বিশাল ঋণের কিস্তি পরিশোধে অন্তর্বর্তী সরকার চাপে রয়েছে, যদিও এখন পর্যন্ত কোনো ঋণের কিস্তি মিস হয়নি।
সরকার বলছে, অর্থনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম পুনর্বিবেচনা ও সংগঠিত করে বাজেট বাস্তবায়ন আরও কার্যকর করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বিদেশি সহযোগীরা ৩০০ কোটি ডলারের নতুন ঋণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে প্রতিশ্রুতি ছিল ৭২৪ কোটি ডলার। এই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের কাছ থেকে প্রায় ২০০ কোটি ডলারের ঋণ প্রকল্প পাইপলাইনে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশি ঋণ বা বিনিয়োগ আসার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সরকারের দীর্ঘমেয়াদি দিকনির্দেশনার একটি স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। কারণ এসব প্রকল্প ও বিনিয়োগ সাধারণত স্বল্পমেয়াদী নয়, বরং মধ্য থেকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ।
নতুন বাজেটের আগে সরকার ১০ বিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা পাওয়ার লক্ষ্যে বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
মারিয়া