ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

প্রথমবার ব্রি-১০৪ জাতের ধান চাষ করে বাজিমাত করলেন কৃষকরা

মো,সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া

প্রকাশিত: ০৯:০৫, ৪ মে ২০২৫

প্রথমবার ব্রি-১০৪ জাতের ধান চাষ করে বাজিমাত করলেন কৃষকরা

ছবি: সংগৃহীত।

প্রথমবার ব্রি ১০৪ জাতের ধান চাষ করে বাজিমাত করল আখাউড়ার ধান চাষীরা। ফলন বেশি হওয়ায় চারদিক হৈ চৈ পড়ছে কৃষকদের মাঝে। চলতি মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাব ব্রি ১০৪’ জাতের ধান আবাদ করে কৃষকরাও খুশি। জমির পাশ দিয়ে হাঁটলেই নাকে লাগছে ধানের সুগন্ধ। সেই সাথে সুগন্ধ চড়াচ্ছে মাঠজুড়ে।

ইতিমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে এ জাতের ধান শুরু থক কাটা পর্যন্ত মোট ১৪৭দিন সময় লাগছে। উচ্চ ফলনশীল ব্রি-১০৪ জাতের ধান বিঘা প্রতি ২২ থেকে ২৫ মণ ফলন পাচ্ছন কৃষকরা। 

আখাউড়া উপজলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, প্রাগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এট্রিপ্রিনিউরশিপ এন্ড রেজিলিয়ন্স ইন বাংলাদশ (পার্টনার) প্রাগ্রামের আওতায় এই প্রথম আখাউড়ায় বীজ উৎপাদনের প্রদর্শনী হিসেবে কৃষি অফিসের সহায়তায় ব্রি -১০৪ জাতের ধান আবাদ করে কষকরা। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৫ হাজার ৭ শত হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে ব্রি ১০৪ জাতের ধান ৭ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়। এর মধ্যে কৃষকদের প্রদর্শনী রয়েছে ২টি। মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া ও প্রকতি ধান চাষের অনুকূলে থাকায় মাঠে তেমন কোন রোগ বালাইয়ের আক্রমণ দেখা যায়নি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ মৌসূমে ফলন ভাল হয়েছে। কৃষকরা ব্রি ১০৪ জাতের ধান আবাদ করে এক প্রকার চমক সষ্টি করেছে। ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকদের মাঝে ব্রি ১০৪ জাতের ধান বেশ সারা ফেলেছে। এ ধানের সুগন্ধ ছড়িয় পড়েছে চারদিকে। সুগন্ধিযুক্ত এই ধান চিকন, ফলন ও বাজার দর ভাল হওয়ায় লাভবান হয়েছে কৃষকরা। 

উপজেলার মোগড়া, মনিয়ন্ধ, ধরখার এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এখনো কিছু জমিত ব্রি ১০৪ ধান গাছ বাতাসে ঝুলছ। মাঠে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সোনালী ধানের সমারাহ। ইতিমধ্য জমিতে ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। কথা হয় উপজলার ধরখারপর নাজমুল হকের সাথে। তিনি বলেন, কৃষি অফিসের সহায়তায় এ মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে পরীক্ষা মূলক ব্রি ১০৪ জাতের ধান আবাদ করি। সরকার থেকে নগদ টাকা, বিনা মূল্যে বীজ ও সার পেয়েছি। ইতিমধ্যে ধান কাটা হয়েছেে। প্রতি বিঘায় ধান পেয়েছি ২৪ মণ।

আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. তানিয়া তাবাসসুম বলন, এবার পরীক্ষামূলক ৭ হেক্টর জমিতে ব্রি-ধান-১০৪ আবাদ করা হয়। এ জাতটি উচ্চ ফলনশীল একটি জাত। এই জাতে অ্যারামটিক পদার্থ আছে, যার কারণে জমির পাশ দিয়ে হাঁটলেই সুগন্ধ পাওয়া যায়। অন্য ধানের চাইতে ফলন ভাল হয়। এটি চিকন ও প্রিমিয়ার কোয়ালিটি। এটা খুবই লাভজনক ধান। তাই এ জাতীয় ধান চাষ করত উপজেলার কৃষকদর উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
 

সায়মা ইসলাম

×