ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

প্লাস্টিক বর্জ্য নদীতে না ফেলার আহবান জানিয়ে ভোলায় জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি

মো. ফজলে রাব্বি, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, ভোলা সরকারি কলেজ

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ২ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১১:৪৮, ২ জুলাই ২০২৫

প্লাস্টিক বর্জ্য নদীতে না ফেলার আহবান জানিয়ে ভোলায় জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি

ছবি: জনকণ্ঠ

প্লাস্টিক বর্জ্য নদীতে না ফেলার জন্য ভোলায় পরিবেশ অধিদপ্তর এবং যুব ও সামাজিক সংগঠন ইয়ুথ নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্টের সদস্যদের জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

দ্বীপজেলা ভোলার ইলিশা ফেরীঘাট এবং ইলিশা লঞ্চঘাটে পরিবেশ অধিদপ্তর, ভোলা জেলা শাখা এবং যুব সংগঠন ইয়ুথ নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্ট টিম প্লাস্টিক বর্জ্য নদীতে না ফেলার নিমিত্তে ফেরী পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং লঞ্চ পরিচালনায় নিয়োজিত ইনচার্জ এবং স্টাফদের সাথে জনসচেতনতামূলক সভা আয়োজন করেন। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর, ভোলা জেলা শাখার সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ তোতা মিয়া।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিবছর মাথাপিছু প্লাস্টিকের ব্যবহারের পরিমাণও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশে প্রতিবছর প্রায় ৮,৯৯,২৫০ মে.টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়। যা পরবর্তী সময়ে মাইক্রো প্লাস্টিক হয়ে ফুড চেইনে যুক্ত হয়ে মানব শরীরে প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়। এজন্য নৌ পরিবহন থেকে যাতে কোনো প্লাস্টিক বর্জ্য নদীতে না ফেলা হয় সেজন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। 

পরিবেশ অধিদপ্তর, ভোলা জেলা শাখার সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ তোতা মিয়া বলেন, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতি, শিক্ষা ও সচেতনতামুলক প্রচার, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করন এবং সরকারের নীতিগত পরিবর্তনের বাস্তবায়ন করে আমরা পরিবেশে মিশে যাওয়া প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ কমাতে পারি। 

এসময় তিনি আরো বলেন, প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলা করে বাসযোগ্য ভবিষ্যত পৃথিবীর জন্য আমাদের সকলের ভূমিকা পালন করার এখনি সময়। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর, ভোলা জেলা শাখার হিসাবরক্ষক মতিউর রহমান মুন্না, যুব সংগঠক মোঃ শাফায়াত হোসেন (সিয়াম)। 

যুব সংগঠক মোঃ শাফায়াত হোসেন (সিয়াম) বলেন, প্লাস্টিকের অতিমাত্রায় ব্যবহার পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব রাখছে। প্লাস্টিক দূষণ রোধে ভোলায় পরিবেশ অধিদপ্তর এবং ইয়ুথ নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্টের এই জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমকে আমরা সাধুবাদ জানাই। 

তিনি আরও বলেন, নদীতে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে। প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। নদী ও জলাশয়ে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলার ফলে জলজ প্রাণী ও মাছের ক্ষতি হয় এবং পানি দূষিত হয়। এছাড়া, প্লাস্টিক বর্জ্য পচে ভূমি ও পানি দূষণ ঘটায় এবং রোগ ছড়াতে পারে। তাই, প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে নদীকে দূষণমুক্ত রাখা জরুরি। 

এসময় যুব ও সামাজিক সংগঠন ইয়ুথ নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্টের টিম মেম্বার আবিদ হোসেন রাফি, মোঃ জাহিদ হাসান, মোঃ সাইদুর রহমান, মোঃ জিহাদ, মোঃ মমিন হোসেন, মুক্তা আক্তার, মোঃ নাইমুর রহমান, আহমেদ অরিন, আশিকুর রহমান, মোঃ মুন্না, জিসান, মোঃ রাহিন এবং জিহাদ সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

শিহাব

×