
"আমরা পটিয়া থানার সামনে অবস্থান নিয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত পটিয়া থানার ওসি জায়েদ নূরকে অপসারণ না করা হবে ততক্ষণ আমাদের অবস্থান থাকবে", বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকাল ১০ টায় পটিয়া থানার মোড়ে অবস্থান করার কথা জানান তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী, এনসিপি, ছাত্রশিবির ও বিএনপির নেতাকর্মীদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করার ঘটনায় এই গণজামায়েতের সৃষ্টি হয়েছে।
সকাল ১০টায় ‘সর্বস্তরের ছাত্রজনতা’র ব্যানারে পটিয়া ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্ররা পটিয়া থানা ঘেরাও করে। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই শতাধিক ছাত্র এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ নেতা দীপংকর তালুকদারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা পটিয়ায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। কিন্তু পুলিশ ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রহণে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে, বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ওসি জায়েদ নূরের নেতৃত্বে পুলিশ দুই দফায় ছাত্রদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এর প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা বুধবার সকাল ১০টায় ‘পটিয়া ব্লকেড’ কর্মসূচি আহ্বান করে।
পুলিশের হামলায় আহত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আশরাফুল ইসলাম তৌকির (২১), মো. নাদিম (২১), মো. আয়াস (১৬), মো. আকিল (১৮), মো. ইরফান উদ্দিন (১৮), তাসরিয়ান হাসান (১৮), মো. রায়হান উদ্দিন (২০), সাইফুল ইসলাম (১৭), জাহেদুল করিম শাহী (১৮), মুনতাসির আহমদ (১৭) ও সাইফুল ইসলাম (১৮)। আহতরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সানজানা