
পৌরবাসীর বিকেলের একটু স্বস্তিদায়ক সময় কাটানোর একমাত্র পছন্দের স্থান কলাপাড়ার আন্ধারমানিক নদী তীরের হেলিপ্যাড মাঠটি। মাঠের চারদিকে সড়কে হেঁটে বেড়ানো। পরিবার-পরিজন একত্রে নির্মল বাতাসের স্পর্শ মেলে যেখানটায় গেলে। নদী তীরের বেঞ্চির উপরে বসে আলাপচারিতা। খোশগল্পে মেতে ওঠা। সুযোগ পেলে বাবা-মায়ের সঙ্গে শিশুরা কাটায় বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত আনন্দঘন মুহূর্ত।
শুধু তাই নয়,যাদের চিকিৎসক হাঁটতে বলেছেন সুস্থ থাকার জন্য। শরীরের ঘাম ঝরানো হাঁটার জন্যও বেছে নেন অসংখ্য মানুষ এ মাঠটির চারপাশের সড়ক। নারী-পুরুষ পছন্দের সময় হাঁটতে যান ওখানটায়। তাতে প্রবল বিপত্তি ছিল বাইকারদের উপদ্রব।
অবশেষে বাইকারদের প্রবেশ ঠেকাতে কলাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. রবিউল ইসলাম প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিলেন। ওয়াকওয়ের তিন দিকের প্রবেশদ্বারে এসএস পাইপ বসিয়ে বাইকার প্রতিরোধে এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রশংসনীয় এই পদক্ষেপকে হেলিপ্যাড ব্যবহারকারী মানুষ স্বাগত জানিয়েছেন।
নাছরিন জাহান নামের এক গৃহবধূ জানান, তারা প্রায় সময় সুযোগ পেলে বিকেলে কিংবা সন্ধ্যায় শিশুসন্তানদের নিয়ে হেলিপ্যাড মাঠে ঘুরতে আসেন। কখনো বাচ্চাদের সামনে ছেড়ে দিয়ে বেঞ্চির উপরে বসে নির্মল বাতাসে কিছুটা সময় কাটান। কিন্তু বাইকাররা হাঁটার সড়কে দ্রুত ও বিকট শব্দে চলাচল করায় বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তায় থাকতেন। এখন বাইকারদের চলাচল বন্ধ করায় তারা স্বস্তিবোধ করছেন।
প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত যারা শরীরের সুস্থতার জন্য হাঁটছেন, তারাও এমন পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল ইসলাম জানান, পৌরবাসীর সহায়তা পেলে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে সুবিধা হবে।
আফরোজা