
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ
কুড়িগ্রামে চিলমারী-রৌমারী নৌ-রুট দীর্ঘ চার মাস ধরে নাব্যতা সংকটের কারণে বন্ধ ছিল। ফেরি চলাচল না করায় ভোগান্তিতে পড়েছিলো কুড়িগ্রাম, রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারির মানুষেরা। ফেরি বন্ধ থাকায় শুধু যাত্রীরাই নয়, ভোগান্তি পড়েছিলো রংপুর, লালমনিরহাট নীলফামারীর পণ্য পরিবহনকারীরাও।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) দৈনিক জনকণ্ঠে নাব্যতা সংকটে চার মাস চিলমারী-রৌমারী ফেরি চলাচল বন্ধ" এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের ৫ দিন পরে শনিবার (৩ মে) আবারও চালু হলো এই ফেরি। ফেরি চালু হওয়ার সন্তোষ প্রকাশ করেছে এই রুটে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ ও পণ্য পরিবহনকারীরা।
রৌমারী এলাকার সাজু মিয়া দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, “৪ মাস পরে অবশেষে এই রুটে ফেরি চালু হলো। এই ৪ মাস আমাদের পারাপারে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল। সেসময় আমরা ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় যেতাম এবং টাকাও অনেক বেশি লাগতো।”
ট্রাকচালক আনোয়ার হোসেন আলাল বলেন, “ফেরি চালু হওয়ার অনেক স্বস্তি লাগছে। ৪ মাস অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল। রংপুর দিয়ে যেতে সময় ও অর্থ দুটোই বেশি লাগত, এখন অনেক সাশ্রয় হবে। তিনি আরও বলেন, ‘শুধু ফেরি চালু করলেই হবে না। এই রুটে ফেরির শিডিউল ঠিক করতে হবে। শিডিউল ঠিক না থাকার কারণে আমাদের ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।”
উল্লেখ্য, কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা সংকট মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে নৌপথে খনন কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলো বিআইডব্লিউটিএ। ফলে প্রায় চার মাস থেকে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। গতবছরের ২৩ ডিসেম্বর এই নৌপথে নাব্যতা সংকট দেখিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়। মাসের পর মাস ফেরি বন্ধ থাকার ফলে সরকারের লোকসানের পাশাপাশি জনগণ ভোগান্তিতে ছিল। জানা যায়, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় বিআইডব্লিউটিএকে প্রতি মাসে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছিল।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিএ) চিলমারীর ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন, “আমাদের ২ টা ফেরি চলাচলের জন্য গতকাল থেকে প্রস্তুত আছে। তবে অনেক দিন পরে ফেরি চলাচলের খবরটা পৌঁছাতে সময় লাগছে তাই ঘাটে ট্রাকের সংখ্যা কম। আশাকরি ২-১ দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।”
মনোয়ার হোসেন লিটন/মিরাজ খান