
হঠাৎ আগুন, লঞ্চডুবি বা যেকোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সবার আগে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। নিশ্বার্থ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নগরবাসীর মুখে এই বাহিনীর নামই চলে আসে সবার আগে। প্রতিদিনই বাড়ছে ঢাকার জনসংখ্যা। এত মানুষের ঢাকায় সীমিত সম্পদ ও কর্মী নিয়ে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। ফলে চেষ্টা করেও দ্রুত দুর্ঘটনা স্থলে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না তাদের।
রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র পান্থপথ, বাংলামোটর, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, মালিবাগ ও শান্তিনগর এলাকায় নেই কোনো ফায়ার স্টেশন। একই পরিস্থিতি ধানমন্ডি, আগারগাঁও, আদাবর কিংবা শ্যামলীতে। বিস্ময়কর হলেও অর্থনীতির প্রাণ মতিঝিলেও নেই কোনো ফায়ার স্টেশন। আবার কূটনৈতিক পাড়া বলে পরিচিত গুলশান ও বনানীর বাসিন্দারাও বঞ্চিত ফায়ার স্টেশনের সার্ভিস থেকে।
নীতি নির্ধারকরা বলছেন সমন্বিত উদ্যোগের অভাবে নতুন স্টেশন স্থাপন সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রি. জে মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ‘এখানে সকল স্টেকহোল্ডারদের বসে ঢাকা শহরের স্বার্থে আমাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কি করবো।’
মতিঝিলে যদি আগুন লাগে তাহলে তা নেভাতে দমকলের গাড়ি আনতে হয় বকশিবাজার থেকে। যা ৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। আবার যাত্রাবাড়িতে আগুন লাগলে ডাকতে হয় পোস্তগোলা ইউনিটকে। যা প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।
প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়া ঝুঁকির মাঝে আরও অন্তত ৫টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন জরুরি বলে মনে করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্তাব্যক্তিরা।
মুমু