ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৪ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

বিতর্কে দক্ষতা ও জ্ঞান বাড়ে, সারাদেশে ছড়িয়ে দিবো প্রতিযোগিতাটি

ফরহাদ হোসেন, লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ১৫:৫৩, ৩ মে ২০২৫

বিতর্কে দক্ষতা ও জ্ঞান বাড়ে, সারাদেশে ছড়িয়ে দিবো প্রতিযোগিতাটি

ছবি: জনকণ্ঠ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, বিতর্ক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যুক্তিতর্ক ও গ্রুপ ওয়ার্ক শিখছে। অন্যের মতামতকে সহ্য করতে শিখছে। বিতর্ক করতে গেলে দক্ষতা, সাহস ও চর্চা বাড়ে। এছাড়া বিতর্ক করতে হলে অনেক পড়তে হয়। তাতে পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ ও জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। এ ধরণের প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের উন্নতিতে সহায়ক হিসাবে কাজ করছে। বিতর্ক প্রতিযোগিতা সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। 

শনিবার (৩ মে) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন। 

উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আরও বলেন, "করোনাসহ বিভিন্ন দুর্যোগকালীন প্রেক্ষাপটে দীর্ঘসময় বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এছাড়া বিগত সময়ের শিক্ষা কারিকুলাম অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা গ্রহণ করেনি। সংশ্লিষ্টদের অনেকেই দায়িত্ব অবহেলা করেছেন। এজন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তবে এখন আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর। আমরা পুরাতন নিয়মে পরীক্ষা চালুর বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।"

জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকারের সভাপতিত্বে সদর উপজেলা পরিষদের হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপরিচালক মো. জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জেপি দেওয়ান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সম্রাট খীসা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজ্জাদ ও সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ আলম রানাসহ আরও অনেকে। 

আবীর

×