
ছবি: জনকণ্ঠ
রক্তিম শোভায় উজ্জ্বল হয়ে প্রকৃতিতে দারুন সৌন্দর্য ছড়ায় মে ফ্লাওয়ার। সারাবছর মাটির নিচে ঘুমিয়ে থাকে এই ফুল ও গাছের কান্ড। মে মাস আসলেই মাটি ভেদ করে মাথা উঁচু করে সেই বৃত্তাকার ফুলটি জানান দেই তার আপন অস্তিত্ব। প্রায় ২ শ ফুলের সমন্বয়ে গঠিত এই মে ফ্লাওয়ার এর পুষ্পবিত্ত। ফুলটির স্থায়িত্ব প্রায় এক সপ্তাহ কাল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার পৌর এলাকার সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল আহমেদ খানের বাড়ির বাগানে ফুটেছে এই দৃষ্টিনন্দন মে ফ্লাওয়ার। ফুলটি সুগন্ধ না ছড়ালেও তার সৌন্দর্য সবার নজর কাড়ছে। ইতিমধ্যে দুর্লভ এই ফুলটি দেখতে অনেকেই এই বাগানে আসছেন।
সাউথ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ঘানা, আইভরিকোস্ট,সাইবেরিয়া, মেক্সিকো, প্রভৃতি দেশে এই মেয ফ্লাওয়ার এর বিস্তৃতি রয়েছে। এটি আমাদের দেশের বনাঞ্চল বা বনভূমির উদ্ভিদ নয়। আমাদের দেশের সৌখিন বৃক্ষ প্রেমীরা এ ফুলটি বাগানের টবে লাগান।
বাগানের মালিক মোহাম্মদ ইকবাল আহমেদ খান জানান, ছোটবেলা থেকেই আমার ফুল, ফলসহ অন্যান্য গাছ লাগানোর প্রতি শখ রয়েছে। আমার বাগানে দেশি-বিদেশি নানান জাতের ফুল ও ফল গাছ রয়েছে। তারমধ্যে মে ফ্লাওয়ারও রয়েছে। মে ফ্লাওয়ারের আদি নিবাস আফ্রিকা হলেও আমাদের আবহাওয়ায় এই গাছ বেশ উপযোগী। তাই সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে মে ফ্লাওয়ার লাগানো হয়। মে মাস আসায় এই ফুল গাছে ফুল ফুটেছে। মে ফ্লাওয়ার বেশিদিন স্থায়ী থাকে না। ফুল ঝরে পড়ার পর পাতার সৌন্দর্যও কিছুদিন উপভোগ করা যায়।
শহীদ