ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৪ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

আল জাজিরার তথ্যচিত্রে ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা, ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার অত্যাচার-নির্যাতন ও অপশাসনের চিত্র তুলে ধরা হয়: সায়ের

প্রকাশিত: ১৪:৩৮, ৩ মে ২০২৫; আপডেট: ১৪:৪০, ৩ মে ২০২৫

আল জাজিরার তথ্যচিত্রে ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা, ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার অত্যাচার-নির্যাতন ও অপশাসনের চিত্র তুলে ধরা হয়: সায়ের

ছবিঃ সংগৃহীত

জুলকারনাইন সায়ের তার ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্টে একটি স্ট্যাটাসে বলেন, হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। এতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করা হয়। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা আমলের অত্যাচার-নির্যাতন আর অপশাসনের চিত্রও তুলে ধরা হয় প্রায় ৫০ মিনিটের এই তথ্যচিত্রে। যাতে উঠে আসে কিভাবে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল শেখ হাসিনা সরকার।

সায়ের পোস্টের সাথে একটি নিউজ সংযুক্ত করেছিলেন, যেখানে আল-জাজিরার তথ্যচিত্রের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। 

হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। “Rebuilding Bangladesh: Democracy After Sheikh Hasina” শিরোনামের প্রায় ৫০ মিনিট দীর্ঘ এই তথ্যচিত্রে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূসের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করা হয়েছে।

তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে, কীভাবে শেখ হাসিনার শাসনামলে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হয়। পুলিশ, র‍্যাবসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীকে বিরোধী মত ও চিন্তা দমন করার জন্য ব্যবহারের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। তুলে ধরা হয়েছে গুম, খুন ও নির্যাতনের নজিরবিহীন উদাহরণ, যেখানে অনেককে অপহরণ করে টর্চার সেলে আটকে রেখে চলেছে অমানবিক নির্যাতন। সাক্ষ্য থেকে জানা যায়, মাসের পর মাস হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বন্দিদের রাখা হতো, পিটানো হতো, ভয় দেখানো হতো, এমনকি পিস্তলের বাট দিয়ে মাথায় আঘাতের কথাও উঠে এসেছে।

তথ্যচিত্রে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সরকারের দমন-পীড়নের চিত্রও উঠে এসেছে। ছাত্রদের ওপর চালানো বর্বর নির্যাতনে সাধারণ জনগণও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার অভ্যুদান কিভাবে রচিত হয়েছিল, তা ফুটে উঠেছে এই তথ্যচিত্রে।

আন্দোলনের সময় সেনাবাহিনীর জনগণের পাশে দাঁড়ানোর প্রশংসা করা হয়েছে। সেনাপ্রধান স্পষ্ট করে বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যেতে পারে না। ছাত্র জনতার অনুরোধে ৮৪ বছর বয়সী ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং দেশ গঠনের নেতৃত্ব দেন। গুম, খুন ও নির্যাতনের বিচার প্রক্রিয়া পরিচালনার মাধ্যমে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

তথ্যচিত্রে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে প্রশাসনিক সংস্কার ও বিচার ব্যবস্থার পুনর্গঠনের কথা তুলে ধরে বলা হয়, তিনি ভারতের আধিপত্য থেকে বেরিয়ে কূটনৈতিক ভারসাম্যের মাধ্যমে আলোচনার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনার নতুন ধারা সূচনা করেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমটির মতে, তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নতুনভাবে বাংলাদেশ গঠনের সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/1J3xTxUowc/

মারিয়া

×