
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কর্মসূচিতে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ঘিরে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। এক দশক পর সেই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অজানা তথ্য প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত সেই সমাবেশে কয়েকজন ব্লগারের বিরুদ্ধে ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ এবং ও নারী নীতি বাতিলসহ ১৩ দফা দাবিতে কর্মসূচি দিয়েছিল হেফাজত। সেদিন হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয় রাজধানীর অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র মতিঝিলের শাপলা চত্বরে।
গভীর রাতে হঠাৎ লাইট নিভিয়ে নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই ঘটনায় কতজন নিহত হয়েছেন, তা নিয়ে এখনো জনমনে রহস্য ও সন্দেহ রয়ে গেছে।
সাম্প্রতিক হেফাজতের একটি মহাসমাবেশ উপলক্ষে সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন উপপ্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘যখনই হেফাজতে ইসলামকে সমবেত হতে দেখি, তখনই শাপলা চত্বরে ঘটে যাওয়া সেই হত্যাকাণ্ড ওপর হিউম্যান রাইটস ওয়াচের হয়ে করা আমার অনুসন্ধানের কথা মনে পড়ে।’
তিনি জানান, ঘটনার পর বিবিসির প্রাক্তন সংবাদদাতা মার্ক ডামেটের সঙ্গে মিলে প্রতিবেদন তৈরির কাজে তিনি একটি অনুসন্ধানে অংশ নিয়েছিলেন। দুই সপ্তাহের ওই কঠিন তদন্তে তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, দুই দিনের সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৭ সদস্যসহ অন্তত ৫৮ জন নিহত হয়েছিলেন।
উপপ্রেস সচিব আজাদ মজুমদার আরও জানান, তদন্তকালীন সময়ে তাকে বহু ঝুঁকি নিতে হয়েছিল। হাসপাতালের লকবুক, কবরস্থানের তথ্য, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার এবং নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে সবসময় তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর নজরে পড়ে যাওয়ার এবং নিখোঁজ হওয়ার ভয় নিয়ে কাজ করেছেন।
তিনি লিখেন, ‘নিরাপত্তার কারণে আমি আগে কখনও আমার কাজের কৃতিত্ব দাবি করতে পারতাম না। তবে যখনই দেখি আমার রিপোর্ট কোনো সাংবাদিক রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করছেন, তখন তা আমাকে সত্যিকারের আনন্দ দেয়।’
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=gj3TCDLE3kE
রাকিব