
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এ সরকার কোনো দলীয় সরকার নয়। কিন্তু মাঝে মাঝে সরকারের কিছু উপদেষ্টা অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করেন, যা দেখে আমরা বিস্মিত হই। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ থেকে তাদেরকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে হলে সরকার থেকে বের হয়ে এসে দিতে হবে, ওখানে থেকে নয়। রাজনীতি করার অধিকার আপনার আছে যেমন অধিকার আমার আছে। কিন্তু একটি দল নিরপেক্ষ সরকারের অংশ হয়ে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে জাতি মেনে নেবে না, জাতি এটা চায় না। এই সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত।
শনিবার (৩ মে) রাজধানীর মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত জেলা ও মহানগর আমিরদের এক সম্মেলনে তিনি এই বক্তব্য দেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সরকার আগামী ডিসেম্বর থেকে পরের বছরের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলছে। তবে যেসব রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সহযোগিতা থাকলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব। তার মতে, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগেই বা অন্তত এপ্রিলের মধ্যে সম্পন্ন হওয়া উচিত। কারণ এরপর কোরবানির ঈদ ও বর্ষা মৌসুমের কারণে নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দিতে পারে।
সরকারের কিছু উপদেষ্টার "রাজনৈতিক ও অনভিপ্রেত" বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই ধরনের মন্তব্য জাতীয় ঐক্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই এসব থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, “পেশিশক্তি ও কালো টাকার প্রভাব রোধ করতে হলে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ভিত্তিক নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু করা দরকার।” তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই এই পদ্ধতি সফলভাবে প্রয়োগ হচ্ছে।
ফারুক