ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

মনোবিজ্ঞানের আলোকে যে আটটি অভ্যাস আপনার ভালো থাকার অন্তরায়!

প্রকাশিত: ২২:২৬, ২ মে ২০২৫; আপডেট: ২২:২৬, ২ মে ২০২৫

মনোবিজ্ঞানের আলোকে যে আটটি অভ্যাস আপনার ভালো থাকার অন্তরায়!

ছবিঃ সংগৃহীত

সুখী মানুষদের কিছু অভ্যাস থাকে যা তাদের মানসিক শান্তি ও জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলে। কিন্তু কিছু সন্ধ্যার অভ্যাস আছে যা মানুষকে সেই সুখ থেকে বঞ্চিত করে দেয় – এমনটাই বলছে মনোবিজ্ঞান। নিচে এমন ৮টি সন্ধ্যার অভ্যাস তুলে ধরা হলো যা সত্যিকারের সুখ থেকে মানুষকে দূরে রাখে:

অতীতের ঘটনা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করা

অতীতের ব্যর্থতা বা নেতিবাচক ঘটনা বারবার মনে করলে মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা বাড়ে। এতে মানুষ বর্তমানে মনোযোগ দিতে পারে না এবং ভবিষ্যতের জন্য কোনো ইতিবাচক প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হয়।

নিজের যত্ন না নেওয়া

নিজের জন্য সময় না রাখা বা ‘সেলফ-কেয়ার’ এড়িয়ে যাওয়া ধীরে ধীরে অবসাদ ও ক্লান্তি তৈরি করে। প্রতিদিন অন্তত কিছু সময় নিজের জন্য বরাদ্দ রাখা মানসিক শান্তির জন্য জরুরি।

শরীরচর্চা উপেক্ষা করা

সন্ধ্যায় সামান্য হাঁটাহাঁটি, যোগব্যায়াম বা নাচ-গানও মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। শরীরচর্চা আনন্দদায়ক হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে, যা মানসিক চাপ কমায়।

নিজেকে নেতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করা

নিজের প্রতি কঠোর সমালোচনার মনোভাব আত্মবিশ্বাস হ্রাস করে এবং দীর্ঘমেয়াদে বিষণ্নতা তৈরি করতে পারে। এর পরিবর্তে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং নিজেকে স্বীকার করে নেওয়া উচিত।

প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগ এড়িয়ে যাওয়া

দিনশেষে প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় না কাটানো বা কথা না বলা একাকিত্বের অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়। পরিবার, বন্ধু বা এমনকি পোষা প্রাণীর সঙ্গও মন ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।

অগোছালো পরিবেশে থাকা

বাসা বা কর্মস্থলের বিশৃঙ্খল পরিবেশ মানসিক অস্থিরতা বাড়ায়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও গুছানো পরিবেশে মন বেশি শান্ত থাকে।

দেরি করে ঘুমাতে যাওয়া

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর ও মন দুটোই দুর্বল হয়ে পড়ে। রাতে দেরিতে ঘুমানো অভ্যাসে পরিণত হলে হতাশা ও উদ্বেগের ঝুঁকি বাড়ে।

নিজের শখ বা আগ্রহ থেকে দূরে থাকা

ব্যক্তিগত আগ্রহ বা শখের কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখা জীবনের প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দেয়। প্রতিদিন অল্প সময়ের জন্য হলেও প্রিয় কাজে নিজেকে যুক্ত রাখা দরকার।

এই ছোট ছোট সন্ধ্যার অভ্যাসগুলো বদলে ফেললেই জীবনে শান্তি ও সুখ অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। বিষয়গুলো জানা থাকলে পরিবর্তন আনা অনেক সহজ হয়।

সূত্রঃ ডেইলি মোটিভেশন নিউজ

 

আরশি

×