
ছবি: সংগৃহীত
প্রতি বছর ২ মে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় আন্তর্জাতিক হ্যারি পটার দিবস, যা উৎসর্গ করা হয় হ্যারি পটার ভক্তদের উদ্দেশ্যে। জে. কে. রাউলিংয়ের লেখা এই কিংবদন্তী সিরিজ শুধু জাদুকরী কাহিনি নয়, বরং প্রতিটি বইয়ের মাধ্যমে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পাঠও দিয়েছে। আজকের দিনে জানুন, হ্যারি পটারের প্রতিটি বই আমাদের কী শিক্ষা দিয়েছে।
সফলতার জন্য শুধু জাদু নয়, প্রয়োজন বিশ্বাস, দলবদ্ধ কাজ এবং আনুগত্য। প্রথম বইটি আমাদের শিখিয়েছে, প্রকৃত বন্ধুত্ব ও আস্থা ছাড়া জয় সম্ভব নয়।
আমাদের পটভূমি নয়, আমাদের পছন্দ-ই আমাদের পরিচয় তৈরি করে। হ্যারি যখন নিজের উপর সন্দেহ করে, তখন ডাম্বলডোর বলেন-“তোমার পছন্দই তোমার পরিচয়।”
সত্যকে জানার জন্য প্রতিটি দিক দেখতে হয়। সিরিয়াস ব্ল্যাককে সবাই খলনায়ক ভাবলেও তিনি ছিলেন নির্দোষ। এই বই আমাদের শেখায়, কাউকে বিচার করার আগে সম্পূর্ণ সত্য জেনে নাও।
সঠিক কাজ সব সময় সহজ নয়। ভলডেমর্টের ফিরে আসার সত্য হ্যারি বললেও, অনেকেই বিশ্বাস করেনি। এখান থেকে শেখা যায়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্য বলা জরুরি-কঠিন হলেও।
যথাযথ সময়ে মুখ খুলতে না পারলে অনেক ক্ষতি হতে পারে। যখন সবাই সন্দেহ করে, তখনও হ্যারি এবং তাঁর বন্ধুরা ডাম্বলডোরের বাহিনী গঠন করে সাহসিকতার পরিচয় দেয়।
এই বই আমাদের জানায় ভালোবাসা কতটা গভীর ও ত্যাগমূলক হতে পারে। স্নেইপের জীবন কষ্টে ভরা হলেও, লিলির প্রতি ভালোবাসা তাঁকে সুরক্ষার প্রতীক করে তোলে।
এই বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় সাহস, আত্মত্যাগ ও ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি। নেভিলের সাহসিকতা, রন-হারমায়োনির একতা, এবং মলি উইসলির মাতৃশক্তি-সবকিছুই অনুপ্রেরণামূলক।
যদিও এটি একটি মঞ্চনাটক, তবুও এর গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো-নিজের পরিচয় তৈরি করতে হবে, মা-বাবার ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে আলাদা করে গড়ে তুলতে হবে।
প্রতিটি বইয়ের সঙ্গে আমরা হারিয়েছি আমাদের প্রিয় কিছু চরিত্র-সিরিয়াস, ডবি, ফ্রেড...। এই হারানোর মধ্য দিয়ে বইগুলো শিখিয়েছে, শোক ও আরোগ্য একটি দীর্ঘ এবং কষ্টকর পথ, যা অনুভব করতেই হয়।
আর সবশেষে, হ্যারি পটার সিরিজ আমাদের শিখিয়েছে বই পড়ার গুরুত্ব। হর্মায়োনি না থাকলে, ‘আলোহোমোরা’ থেকে ‘অকুলাস রেপেয়ারো’-সবই অজানাই থেকে যেত! জ্ঞানই শক্তি-এটাই হর্মায়োনির প্রতিটি অধ্যায়ে প্রমাণিত।
তাই বলা যায়, হ্যারি পটার শুধু একটি বই নয়, এটি আমাদের জন্য এক অনুভূতির নাম-যেখানে বন্ধুত্ব, সাহস এবং ভালোবাসার অমলিন ছোঁয়া রয়েছে।
সূত্র: https://shorturl.at/ZUBKk
মিরাজ খান