
ছবি: জনকণ্ঠ
গত ২৮ এপ্রিল দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার অনলাইনে ‘ঢাবিতে মাদকসহ আটক শিমুল কুম্ভকার হলেন ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্যরা।
জনকণ্ঠে পাঠানো এক প্রতিবাদ লিপিতে সংগঠনটি জানায়, গত ২৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় "ঢাবিতে মাদকসহ আটক শিমুল কুম্ভকার হলেন ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক" প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নজরে এসেছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, উক্ত প্রতিবেদনটির শিরোনামটি ভুল ও বিভ্রান্তিকর এবং প্রতিবেদনটিতে যথাযথ তথ্যের অনুপস্থিতি ও বানোয়াট তথ্যের উপস্থিতি রয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, "পরিচয় গোপন রাখার শর্তে নতুন কমিটিতে থাকা ছাত্র ইউনিয়নের এক নেতা জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছিলাম। কিন্তু অদৃশ্য কারণে এটা কীভাবে হয়েছে আমাদের জানা নাই। ছাত্র রাজনীতি যেখানে মাদক মুক্ত রাখার জন্য আমরা চেষ্টা করছি সেখানে এত পুরোনো একটি ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাদকসহ আটক হয়েছিলেন ঢাবিতে। বিষয়টি আমাদের জন্য বিব্রতকর।" আমরা, ৪২তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির সকলে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, এই বক্তব্যটি সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট এবং এরূপ কোন কথা আমরা কেউ কোন গণমাধ্যমকেই বলিনি। আমরা আপনাকে জানাতে চাই, সম্মেলন চলাকালীন, পূর্ববর্তী ও পরবর্তী কোনো সভা কিংবা ফোরামে এই ধরণের কোনো আলোচনাই উত্থাপিত হয়নি; যার প্রমাণ বহন করে ঐ সকল সভার কার্যবিবরণী। তাছাড়া, প্রতিবেদনটিতে একাধিক ভুল তথ্যও উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য-
‘ঢাবিতে মাদকসহ আটক শিমুল কুম্ভকার হলেন ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি করা হয়েছে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে। গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শিমুল কুম্ভকারসহ চারুকলা অনুষদের তিন শিক্ষার্থীকে মাদকসহ আটক করা হয়।
সে সময় শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, গতকাল রাতে তিনজনকে মাদকদ্রব্যসহ থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদেরকে সকাল পর্যন্ত রাখা হয়েছিল। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও চারুকলা অনুষদের ডিন এসেছিলেন। প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিবে এই আশ্বাসে তাদেরকে ডিন স্যারের কাছ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সে সময় প্রকাশিত জাতীয় সংবাদ মাধ্যমেও বিষয়টি উঠে আসে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা বিএনসিসির ক্যাডেট আসিফ বলেন, যখন তাদের ব্যাগ থেকে পুলিশ মাদকদ্রব্য বের করে সেটি সবুজ পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় সাদা কালারের বোতল ছিল।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজাহারুল ইসলাম শেখ বলেন, আমাদের তিন শিক্ষার্থীকে আটক করে প্রথমে নিউ মার্কেট থানায় এবং পরে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়েছিল। তারা আমাদের রানিং শিক্ষার্থী, এজন্য আমরা অভিভাবক হিসেবে থানায় গিয়ে কথা বলার পর তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তারা তাদের ভুল স্বীকার করেছে এবং ভবিষ্যতে আর কখনো এরকম হবেনা বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমরাও তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখছি এবং প্রত্যেক বিভাগের চেয়ারম্যানকে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে বলেছি।
প্রতিবেদনে কোনো প্রকার ভুল তথ্য দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে শাহবাগ থানা এবং ঢাবি প্রশাসন অবগত। তাই এই বিষয়ে প্রতিবেদনে কোনো ভুল তথ্য থাকলে ঢাবি প্রশাসন এবং শাহবাগ থানা বিবৃতি দিতে পারে।
আবীর