ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

১২ লাখ কর্মসংস্থান! ড. ইউনূসের জাদুতে খুলছে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভাগ্য

প্রকাশিত: ০৭:১১, ৩ মে ২০২৫

১২ লাখ কর্মসংস্থান! ড. ইউনূসের জাদুতে খুলছে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভাগ্য

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হচ্ছে প্রবাসী আয়। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশি কর্মীরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তবে, এই শ্রমবাজারের একটি বড় অংশ দখল করে রাখা মালয়েশিয়া গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ ছিল।

 

 

২০২৩ সালের ৩১ মে হঠাৎ করে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের প্রবেশাধিকার বন্ধ হয়ে গেলে বিপাকে পড়েন হাজার হাজার আগ্রহী কর্মী। পরিস্থিতি অন্ধকারে থাকলেও এবার অন্তর্বর্তী সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় ফের জেগে উঠেছে আশার আলো। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, যেখানে উন্মোচিত হতে পারে মালয়েশিয়ার বন্ধ দরজা।

 

 

এই কূটনৈতিক অর্জনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন একটি বিশেষজ্ঞ টিম। তাদের কৌশলী পদক্ষেপে মালয়েশিয়া সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সাধারণ সদস্যরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

বায়রার ভাষ্য অনুযায়ী, অতীতে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর অপপ্রচারে বাংলাদেশি শ্রমবাজার সংকুচিত হয়েছিল। সিন্ডিকেট, অনলাইন সিস্টেম ও শ্রমচুক্তির বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়। এমনকি রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে একদল ফ্যাসিস্টের সহযোগিতায় শ্রমবাজারে বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।

 

 

তবে এবার সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার। বায়রার দাবি, শ্রমিক গ্রহণকারী দেশের সব শর্ত মেনে নিয়েই বাংলাদেশ যেন শ্রমবাজারে নিজের অবস্থান সুসংহত করতে পারে।

ইতোমধ্যেই মালয়েশিয়া সরকার ঘোষণা দিয়েছে, তারা ১৪টি দেশ থেকে ১২ লাখ কর্মী নেবে, যার মধ্যে বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রতি আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। বিশ্লেষকদের মতে, মালয়েশিয়ায় চীনা বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট নতুন শিল্পকারখানাগুলোতে শ্রমিকের চাহিদা বহুগুণে বেড়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ।

 

এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে কর্মসংস্থান হবে লাখো মানুষের। অর্থনীতিতে আসবে নতুন গতি। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন , এই সম্ভাবনাময় বাজার যেন রাজনৈতিক বিরোধিতায় না হারিয়ে যায়। প্রয়োজন সম্মিলিত জাতীয় ঐক্য, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, আর কূটনৈতিক সাফল্যের প্রতি শ্রদ্ধা।

আঁখি

×