
ছবিঃ সংগৃহীত
২০০৩ সালের মার্চে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইরাকে হামলা চালিয়ে সাদ্দাম হোসেনের সরকারকে উৎখাত করে। এরপর সাদ্দাম আত্মগোপনে চলে যান এবং প্রায় নয় মাস ধরে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই সময়ে তিনি বিভিন্ন অডিও বার্তার মাধ্যমে প্রতিরোধের আহ্বান জানাতেন। অবশেষে একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে আটক করে। এই অভিযানটি ‘অপারেশন রেড ডন’ নামে পরিচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সাদ্দাম হোসেনকে ধরার জন্য ‘অপারেশন রেড ডন’ পরিচালনা করে। এই অভিযানে প্রায় ৬০০ সেনা অংশ নেয়, যার মধ্যে ডেল্টা ফোর্স ও ইন্টেলিজেন্স সাপোর্ট অ্যাক্টিভিটি (ISA) অন্তর্ভুক্ত ছিল। তাদের সহায়তা করে ৪র্থ ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের ১ম ব্রিগেড কমব্যাট টিম। অভিযানটি তিকরিত শহরের কাছে আদ-দাওর এলাকায় পরিচালিত হয়।
সাদ্দাম হোসেনকে একটি খামারবাড়ির নিচে ৬ থেকে ৮ ফুট গভীর একটি গর্তে লুকিয়ে থাকতে পাওয়া যায়, যেটিকে স্পাইডার হোল বলা হয়। তিনি আটক হওয়ার সময় কোনো প্রতিরোধ করেননি এবং আহতও হননি। তাকে অগোছালো চুল ও দাড়ি নিয়ে পাওয়া যায়, যা তার পরিচিত চেহারার সঙ্গে মেলেনি।
আটকের পর সাদ্দাম হোসেনকে তিকরিতের কাছে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে বাগদাদের কাছে একটি ঘাঁটিতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিচার শেষে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের মিথ্যা ছুতায় ঈদের দিন তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
সূত্রঃ https://youtu.be/I4RNc67pSfw?si=U5o__AJDbZu2cmyQ
আরশি