ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

গাজায় ক্ষুধার ঝুঁকিতে হাজারো ফিলিস্তিনি শিশু: জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

প্রকাশিত: ০৩:০৩, ৩ মে ২০২৫

গাজায় ক্ষুধার ঝুঁকিতে হাজারো ফিলিস্তিনি শিশু: জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

ফিলিস্তিনি শিশুরা গাজায় ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণ এবং ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের মধ্যে বাস করছে [আব্দ এলহকিম খালেদ/রয়টার্স]

গাজার উপর ইসরায়েলের সম্পূর্ণ অবরোধের কারণে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশু তীব্র অপুষ্টি ও মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শুরু থেকে ৯,০০০-এর বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মার্চের শুরু থেকে ইসরায়েল সব ধরনের খাদ্য, পানি ও সাহায্য পৌঁছানো বন্ধ করে দিয়েছে।

ইউনিসেফ প্রধান ক্যাথরিন রাসেল বলেন: প্রতিদিন শিশুদের জন্য পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। ক্ষুধা, অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে – এটি কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা জানায়, তাদের খাদ্য মজুত শেষ হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ যেসব কমিউনিটি কিচেনে নির্ভর করতো, সেগুলোও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

এক উদ্বাস্ত্ত ফিলিস্তিনি বলেন,আমরা পুষ্টিকর খাবার চাই না, শুধু চাই বাচ্চাদের পেট ভরুক। আমি আমার সন্তানকে না খেয়ে মরতে দিতে চাই না।

ইসরায়েল বলছে, গাজায় হামাসের কাছে আটক বন্দিদের মুক্তি দিতে চাপ দিতেই এই অবরোধ। কিন্তু এ অবরোধে কোনও বন্দিমুক্তি হয়নি।

হামাসের এক নেতা ইসরায়েলকে “ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে” ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন।

জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইসরায়েলের দায়িত্ব ফিলিস্তিনিদের খাদ্য ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা। এ অবরোধ চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘন করছে।

গাজায় বর্তমানে লক্ষাধিক মানুষ খাদ্যসংকটে ভুগছে, এবং বিশেষ করে শিশুদের জন্য পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন গাজার চিকিৎসক ও মানবাধিকার কর্মীরা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ৫২,৪০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

তথ্যসুত্রঃ আল জাজিরা

এসএফ

×